পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दभब्जा বিরাজ। হঁয়া-কলকেত হ’য়ে আজই সন্ধ্যের ‘মেলা এ আমাকে কাশী যেতে হচ্ছে। যথাকলে একখানা ঘোড়ার গাড়ী আসিয়া বাড়ীর সম্মুখে দাড়াইল । বিরাজ প্ৰস্তুত হইয়া গাড়ীতে উঠিবে এমন সময়ে একটা অভাবনীয় দুর্ঘটনার সংবাদ আসিয়া তাহার কাশী যাওয়া ঘুরাইয়া দিল। । গ্রামের প্রান্তবৰ্ত্তী প্ৰান্তরের মধ্যস্থলে অরণ্যানীবেষ্টিত বহুকালের একটি দীর্ঘিকা ছিল। উচ্চতীরজাত, ঘনপল্লবান্বিত, বহুশাখাসমন্বিত বহু বনবৃক্ষ সেই দীঘির উপরে নিবিড় ছায়া বিস্তার করিয়া তাহার স্বাভাবিক কালো জলকে আরও কালো করিয়া দেখাইত। দীঘির চারি ধারেই, খুব ঘন পদ্ম-বন, মধ্যে কাকাক্ষি সদৃশ স্বচ্ছ ও কৃষ্ণ জলরাশি। ‘স্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হইলেও কিন্তু সে জল কাহারও ব্যবহারে আসিত না ; বহুদিনের বহু রহস্য-কাহিনী ও কিংবদন্তি সেই কালো জলের স্তরে স্তরে পুঞ্জীভূত থাকিয়া তাঙ্গাকে সাধুচরণের যথেচ্ছব্যবহারের বহিভূত করিয়া রাখিয়াছিল। নিকটের পল্লীবাসীরা কেহ অবগাহনের জন্য তাহাতে অবতরণ করে না । দুরন্ত পল্লী-বালকের কেহ সেই জলে নামিয়া পদ্ম তুলিবার চেষ্টা করে না। আগ্রীবনিমগ্ন কোন পল্লী-বামাও কদাচিৎ সেই কালো জল আলো করিয়া ভ্ৰমরবৃন্দের ভ্ৰমোৎপাদন করে না। দুলের মেয়েরাও কখন তাহার ধারে নামিয়া ঝিনুক তুলিতে আইসে না। এই দীঘির তীরস্থিত, সলিলবিলম্বিত, পুষ্পিত তরুর প্ৰতিবিম্বে কতজন অন্তর্জলবাসী যক্ষের সুবৰ্ণরথের বিচিত্র ধ্বজ দেখিয়া থাকে এবং তাহার ধীবরা পরিচিত অগাধজলের বৃহদাকার মৎস্তসমূহেও কতজন কত ভীষণ জল-জন্তু প্ৰত্যক্ষ করিয়া থাকে। সেই দীঘির জল হইতে পুলিশ কর্তৃক কাত্যায়নীর মৃতদেহ উদ্ধৃত হই Sዓb” }