পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেলেই তাহা বুঝিতে পারে এবং বুঝিতে পারিয়া শোকে অভিভূত হইয়া পড়ে। - মৃতজনের দোষগুলি তখন আর ভাবিতে ইচ্ছা হয় না ; তাহার গুণের কথাগুলিই অহরহঃ মনে জাগিয়া মনকে আকুল করিয়া তুলে। তাহার উপরে নিত্যজীবনের ব্যর্বইরে যদি তাহার প্রতি কোন ক্ৰট, অনাদর বা অনুচিত ব্যবহার ঘটিয়া থাকে, তুচ্ছ হইলেও সেইগুলি তখন এক একটা বড় বড় মৰ্ম্মবেদনার তেতু হইয়া দাড়ায়। বিরাজ জননীর শোকে অতিমাত্ৰ কাতর হইয়া পড়িল । কাত্যায়নীর মৃতদেহ আবিষ্কৃত হইবার পরদিনেই মধ্যাহ্নে সুধাংশু। তরঙ্গিণীকে লইয়া ফিরিয়া আসিল । গাড়ীর শব্দ শুনিতে পাইয়াই রায় মহাশয়, ছুটয়া আসিয়া দেখিলেন, তরঙ্গিণী নামিয়া একহাত ঘোমটা টানিয়া নিজের বাড়ীর দিকে চলিয়া গেল। সুধাংশুও গাড়োয়ানকে ভাড়া চুকাইয়া দিয়াই কোনও দিকে না চাহিয়া বাড়ীর ভিতরে যাইবার উপক্ৰম করিল-তাহার সহিত একটা কথাও কহিল না । রায় মহাশয় অবাক। তিনি এই কয়েকদিন ধরিয়া বাড়ীখানিকে যাহার অভ্যর্থনার জন্য প্ৰস্তুত করিয়া তুলিতেছিলেন—ৰ্তাহার সেই ‘বউ-মা” কোথায় রহিল ? আর যে “কত্তা’ কোথাও গিয়া কখনও দুই দিন কাটাইতে পারেন না-তিনিই বা কোথায় রহিলেন ? তিনি আর বিস্ময় ও কৌতুহলের আবেগ দমন করিতে পারিলেন না-সুধাংশুর পিছু পিছু আসিয়া জিজ্ঞাসা করিয়া ফেলিলেন, “কত্তা কোথা রইলেন ?” সুধাংশু মুখ না ফিরাইয়াই চলিতে চলিতে গম্ভীরভাবে বলিল, “কাশীতে।” : রায় মহাশয় আবার কিছুদূর আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,-“আর बख्-भा ?” . . . . Royo |