পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभaन আমি নিজেই হইয়াছিলাম; কিন্তু আমি বলিব-সংসার বা সমাজই আমাকে মন্দ করিয়াছিল। শৈশবে আমার চরিত্র কি বিশেষ মন্দ ছিলজানি না, বাল্যে বা যৌবনের প্রারম্ভে বেশ জানি-আমি মন্দ ছিলাম না । তবে তত মন্দ আমার চরিত্রে কিরূপে বিবৰ্ত্তিত হইল-তত মন্দের বীজ, আমার সে সোণার শৈশবের সরলতার ভিতরে কোথায় প্রচ্ছন্ন ছিল ? সংসার যদি আমার দুঃখে ততটা উদাসীন না থাকিত, সমাজ যদি আমার অভাব ও অভিযোগের কথায় একদিনের জন্যও কৰ্ণপাত করিত, আমি বেশ বলিতে পারি—আমার অবস্থা আজ এমন শোচনীয় হইত না। আমার দোষ, আমি মন্দবুদ্ধি-বুঝিতে পারি নাই যে, ঘূণা ও বিদ্বেষে সুখ নাই-প্রতিহিংসা শুধু নিজের অশান্তি । বাড়াইয়া থাকে। ঘূণাকে যে দয়া করিতে পারে-দ্বেষ্যকে যে ক্ষমা করিতে পারে, সে শুধুই মহৎ নহে-বিশ্বের মহৎ উপকারক। পতিত ও দুষ্টের সংশোধনের ' উপায়, দণ্ড নহে—ক্ষমা, ঘৃণা নহে-অনুকম্পা। তুমি তাত জান, কিন্তু সমাজ তাহা বুঝে কৈ ? সমাজ, যেদিন এই কথা বুঝিবে, সেই দিন মানুষের অৰ্দ্ধেক দুঃখ কমিয়া যাইবে-সংসার শান্তির আবাস হইবে। সে দিন কখনও আসিবে কি না -জানি না ; আসিলেও আমি তাহা দেখিতে থাকিব না। লোকসমাজে আমি মুখ, দেখাইতে পারি না, তোমাদের কাহারও সঙ্গে মিশিতে পারি না, বাড়ীতে স্ত্রীর সঙ্গে মুখ তুলিয়া কথা কহিতে পারি না, নিজের ছেলে মেয়েদের পর্য্যন্ত প্ৰাণ ভরিয়া স্নেহ-যত্ন করিতে পাই না। তাহারাও বোধ হয় আমাকে স্থণা করে, আমার সঙ্গে ভয়ে ভয়ে কথা কহে, আমাকে যেম কি একটা প্ৰহেলিকার বিগ্ৰহ ভাবিয়া সংশয়পূর্ণনেত্রে আমার দিকে চাহিয়া থাকে, { &ሁ©