পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺平引 আমার নিকট হইতে দূরে থাকিলেই যেন ভাল থাকে। - মানুষের অপকৰ্ম্মের ইহা অপেক্ষা আর কি অধিক শাস্তি হইতে পারে-জানি না ! এ দুর্ভর জীবন লইয়া কি করিতে সংসারে থাকিব ?-আমি পালাইলাম। কোথায় যাইব-জানি না । কখনও ফিরিব কি না।--তাহাও বলিতে পারি না । জীবন চঞ্চল। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তোমাদের সবার সঙ্গে হয় ত এ জীবনে এই শেষ কথা। যাহাদের ফেলিয়া চলিলাম তাহদের দেখিওআর কখন কখন আমার দোষ ও অপরাধ ভুলিয়া আমাকে তোমার শৈশবের সেই ‘হীরুদা’ বলিয়া মনে করিও ।” Ve ऊर्शनां মৃত্যুর পর দুই তিন মাস চলিয়া গিয়াছে। বিরাজ একদিন অপরাহুে রায় মহাশয়ের নিকটে বসিয়া জমীদারী সংক্রান্ত একটা হিসাব দেখিতেছিল, সেই সময়ে সুধাংশু একখানা পত্ৰ আনিয়া তাহাকে দিয়া চলিয়া গেল। পত্ৰখানা ডাকযোগে আসিয়াছে। তাহার শিরোনামাটা ইংরাজীতে লেখা। ডাক-ঘরের অস্পষ্ট মোহর হইতে বুঝা যায় না, পত্ৰখানা কোথা হইতে আসিতেছে। বিরাজ খাম ছিাড়িয়া পত্ৰখানা বাহির করিয়া-দেখিল-বাঙ্গালায় লেখা । লেখাটা যেন বড় দুর্বল হন্তের, আর কঁচা লেখার উপরে জল পড়িলে যেমন অক্ষর ধুইয়া গিয়া পাতলা কালীটা কাগজের উপরে ছড়াইয়া পড়ে,-মাঝে মাঝে সেই রকমের অনেক দাগ ! যে লিখিয়াছে সে কি কঁদিতে ক্লাদিতে লিখিয়াছে ? পত্ৰখানার সমস্তটা নিমেষে একবার দেখিয়া লইয়া, বিরাজ কম্পিতহস্তে সেখানাকে আবার সেই ছেড়া থামের ভিতরে পুরিয়া સr8 }