পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি যদি কখন কোন বিষয়ের জন্য তোমাকে অনুরোধ করেন—তাহাকে নিরাশ করিও, না - এইটি আমার জীবনের শেষ ভিক্ষা -তোমার চিরজীবনের-কমলা ৷” পাঠকের মনে থাকিতে পারে-কমলা একদিন করুণাকে একখানা পত্ৰ দিয়া, সেইখানাকে তাহার মৃত্যুর পরে বিরাজের ঠিকানায় পাঠাইতে অনুরোধ করিয়াছিল। করুণা তখন তাহা করিতে অস্বীকৃত হইলে ও কমলার অনুরোধ ভুলিয়া যায় নাই। এ সেই পত্র। দিনের পর দিন চলিয়া যায়। মাস, ঋতু, বৎসর, পরে পরে মতাসাগরের ছোট বড় তরঙ্গের মত, মহাকালের বক্ষে উঠিয়া অতীতের দিগন্তে মিশিয়া যায়। সংসার নিত্য নিত্য নূতন নূতন ভাবে সরিয়া পড়ে। তাহাতে অধিক দিন একভাবে কিছুই থাকিতে পায় না। শোকতাপও মানুষের হৃদয়ে বেশী দিন একভাবে থাকে না । যাহার বিরহাশঙ্কায় মানুষ জীবনেই শতবার মরিতে চাহে-দিনে সহস্রাবার অশ্রু বিসর্জন করে, যে চলিয়া গেলে মনে করে, রাচিবে না-বাচিতে হয় তা হাসিবে না, কঁাদিয়া কঁাদিয়া নয়ন অন্ধ হইয়া যাইবে, সেও চলিয়া যায় ; তোহার জন্যই বা কতদিন “কঁাদিয়া থাকে ? সংসারের আশ্চৰ্য্য-নিয়মে সকলকেই অশ্রু মুছিয়া হাদিতে হয়, শোক ভুলিয়া আবার আনন্দপর্বেও যোগদান করিতে হয়। তবে হৃদয় সকলেরই সমান নহে, শোকও সবারই তুল্য হয় না ; কাহারও শোকানল প্রিয়জনের চিতার সঙ্গেই নিভিয়া যায়, আবার কাহারও বা সাগ্নিক ব্ৰাহ্মণের dীম-বহির মত-রাবণের প্রবাদপ্রথিত "চিতা-বহির মত, অহরহঃ ধিক মধিক জলিতে থাকে। . : . ૨૨૦ !