পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা। তা জানিবার আমার দরকার নেই ; তুমি পৃথিবীর সব লোককে ভালবাস-আমি জানতে চাই না, তারা কত জন । বিরাজ হাসিয়া বলিল, “কেন ত’তে তোমার কিছু ক্ষেতি নেই ?” কমলা । কি ক্ষেতি ?-আমি যদি প্ৰাণ মন সব দিয়ে তোমাকে ভালবাসতে পারি, তুমি কি আমাকে একটুও না দিয়ে থাকতে পাের ?-- আমি সব চাই না-বেশী ও চাই না । একগুচ্ছ কুঞ্চিত কেশ স্থানভ্রষ্ট হইয়া কমলার কপালের উপরে আসিয়া পড়িয়াছিল। বিরাজ সযত্নে সেইগুলিকে সরাইয়া দিয়া বলিল, “নৗ-কমলা ! আমার সমস্ত মনটিকেই তুমি কেড়ে নিয়েছ-দেবারও অপেক্ষ রাখি নি ।” হৃদয় যখন ভাবাতিশয্যে মগ্ন থাকে। বাকপ্ৰবৃত্তির তখন যেন চেতনাই থাকে না । বহুক্ষণ আর কেহই কোন কথা কহিল না । বিরাজ আকাশের দিকে চাহিয়া কি ভাবিতেছিল, সহসা কমলায় মুখের দিকে চাহিয়া দেখিল, তাহা অস্বাভাবিক গভীর হইয়া উঠিয়াছে, এবং তাহার দীর্ঘনয়নপ্রান্তে দুইবিন্দু অশ্রও দেখা দিয়াছে! বিস্মিত হইয়া ব্যগ্ৰভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “এ কি ?—তুমি কঁাদছ, কমলা ?” কমলা একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া, অশ্রু মুছিয়া বলিল-“না”। বিরাজ। না-কি ? আমি তোমার চোখে জল দেখতে পেয়েছি এই যে হাসছিলে, এখনি আবার এমন কি কথা মনে হ’ল-আমাকে ব’লবে না ? “তোমাকে যদি না ব’লব তবে ব’লব কাকে-কঁাদি নি। একটা কথা মাঝে মাঝে আমার মনে হয় ।”-কমলা মুক্ত বাতায়নের মধ্য দিয়া, আকাশের দিকে চাহিয়া কথা কহিতেছিল; সেই সময়ে একখানা S8.