পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমল৷ বিরাজ। তিনিও তাই বলেন ;- মেয়েটিরও বিয়ে তিনি আমাদেরই বাড়ীতে দিতে চা”ন । সুধাংশু । বড় বউঠাকুরুণ ব’লছিলেন-বউ-দিদি না কি নিজেই সেকথা পেড়ে গেছেন । বিরাজ ! আমিও কৃষ্ণনাথ বাবুকে একরকম কথা দিয়েছি । সুধাংশু । তার ঋণ আমরা জীবনে কখন শোধ ক’রতে পারব। না-তীর অনুরোধ। অমান্য করা কোন রকমেই কৰ্ত্তব্য নয়। বিরাজ। তবে তুই পারুলকে নিয়ে ওপরে আয়!—আশীৰ্ব্বাদের কাজ তিনি আজই শেষ ক’রে যাবেন ব’লছেন। বিরাজ উপরে চলিয়া গেলে সুধাংশু একমুখ হাসিয়া, তরঙ্গিণীর নিকটে আসিয়া বলিল—“মেঘ না চাইতেই যে জল, বউঠাকুরুণ!” তরঙ্গিণী পারুলের বেণীবন্ধন শেষ করিয়া তাহাতে ‘হেয়ারপিন গুজিতেছিল-বলিল, “কি খবর ?” সুধাংশু। দাদা রাজী—তুমি শীগগির ক’রে পারুলকে একখানা কাপড় পরিয়ে দাও—সাজ-গোজের কিছু দরকার নেই। তরঙ্গিণী তাঁহাই করিল। সুধাংশু লজ্জানমমুখী, বেপথুমতী বালিকার হাত ধরিয়া, তাহাকে কৃষ্ণনাথের সম্মুখে আনিয়া বসাইয়া দিল; এবং ভরসা। দিবার জন্য আপনিও তাহার নিকটেই বসিল । এদিকে আশীৰ্ব্বাদের কথা শুনিয়া রামের-মা, শুষ্ঠামের-মা, কামিনী, দামিনী, নবী, ভবী, প্ৰভৃতি প্ৰতিবেশিনীরা দলে দলে উপস্থিত হইতেছিলেন। চারিদিক হইতে উকি-ঝুকি ও কাণাকাণির খুব ধুম পড়িয়া গিয়াছিল। বালিকার শাখ হাতে করিয়া দাড়াইয়া তাহাতে ফু দিবার প্ৰতীক্ষায় অধীর হইয়া উঠিতেছিল। কৃষ্ণনাথ ভবিষ্যৎ পুত্রবধুর সুলক্ষণাবলী