পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইগুলিই ঠিক্‌ ৰ্তাহার বধূ বিদ্বেষের হেতু কি না তাহা বলা যায় না ; তবে এতদন্তিরিক্ত আর কিছুও হেতুরূপে নিরূপিত হইবার মত আমাদের জানা নাই। " কারণ যাহাই তউক কাৰ্য্যে প্ৰত্যক্ষ হইয়া থাকে, কাত্যায়নী তিরস্কার করিবার জন্য নিয়ত কমলার ছিদ্র খুজিয়া বেড়ান। মন যাহার প্রতি অপ্ৰসন্ন তাহার অপরাধের অভাব কি ? “বউ-মানুষের অমন ক’রে চাওয়া-তেমন ক’রে চলা-কথা ক ওয়া” ইত্যাদি কমলার যে কত দোষ তাহার সংখ্যা হয় না । প্ৰথম আসিবার দিনে কমলার পিতা তাঙ্কাকে বলিয়া দিয়াছিলেন, “সৰ্ব্বস্ব ক্ষয় করিয়া তোমার আশ্রয় কিনিয়া দিলাম, যেন fགི་ཐོ་ཤ দোষে তারাইও না-কদাচ গুরুজনের প্রতিবাদিনী হাইও না!” কমলা তাহা মনে করিয়া বোবার মত থাকে ; কিন্তু মূকতাও যে অদৃষ্টের দোষে দোষ হইতে পারে সে তাহ জানিত না-সূৰ্য্যনারায়ণও বোধ হয় তাহা ভাবিয়া দেখেন নাই। কাত্যায়নীর নিকটে বিনয়-বচনে প্ৰসাদ বা ক্ষমা ভিক্ষা করার নাম, “মুখে মুখে উত্তর” আর চুপ করিয়া থাকার নামও-“দেমাক্‌” ! কাচা কাপড় শুকাইবার পর তুলিতে একটু বিলম্ব হইলেই কাত্যায়নী বড় বকেন । কমলা একদিন মান করিয়া আসিয়া দেখিল, ছাতে এক ছাত কাপড় শুকাইয়া গিয়াছে। মাথা না মুছিয়াই সে তাড়াতাড়ি আগে কাপড়গুলিকে তুলিতেছিল। কাত্যায়নী আসিয়া মুখ অন্ধকার করিয়া বলিলেন, “ক্ল্যা গা-মিছে কাজ নিয়ে রয়েছ, বাছা, দাসীগুলোর খেটে খেটে মুখে প্ৰাক্ত উঠে গেল দেখতে পাও না ? একটু বাটনা বেটে দিতে পার নি ?” কমলা তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে আসিয়া, শিল পাতিয়া বাটনা বাটিতে বসিল { কাত্যায়নী তখনই ফিরিয়া আসিয়া দুই চােখ কপালে তুলিয়া বলিলেন, sM,