পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা TuJH Team রাখিয়াছে বলিয়া মনে হয়, কমলাকে সেই শীতে নীচের ঘরে সিমেন্ট মাটীর মেজেতে পড়িয়া, আচল গায়ে দিয়া রাত কাটাইতে হয়। শীতের দুঃসহ বর্ষা, পশমী কাপড়েই শীত ভাঙ্গে না, কমলাকে ভিজা কাপড়েই কাজ করিতে হয়। কখন বা চৈত্ৰতাপে অনাবশ্যক কাৰ্য্য লইয়া মধ্যাহ্নের রৌদ্রে ছাদে বসিয়া থাকিতে হয়। তাহার উপরে অৰ্দ্ধাশন-কখন অনশন! মধ্যাহ্নে একদিন এক ভিখারিণী আসিয়া দুটি ভাত ভিক্ষা করিল। মোহিনী কঠোর প্রত্যাখ্যানকে কটুম্বরে অতিমাত্র তিক্ত করিয়া বলিল, “মর মাগী-ভাত এত বেলায় তোর জন্যে কে বেড়ে রেখেছে লা ? ধুমসা গতবু ব্ল’য়েছে-খাটিয়ে খেতে পারিস না ?-আমরা কি ক’রছি ?” ভিখারিণী বেগতিক বুঝিয়া চলিয়া যাইতেছিল ; কমলা ইশারা করিয়া তাহাকে দাড়াইতে বলিল,এবং নিজাংশের অন্নগুলির যথেচ্ছব্যবহারে তাহার অধিকার আছে ভাবিয়া সেইগুলি ভিখারিণীকে ঢালিয়া দিয়াছিল। অল্পের সেই অপধাবচারের অপরাধে দুই দিন তাহাকে উপবাস করিয়া থাকিতে হইয়াছিল। বাড়ীতে প্ৰতিবেশিনী কৈত বেড়াইতে আসিলে কাত্যায়নী তাহাকে কমলার কাছে বসিতে দেন না। তরঙ্গিণীকে কেবল তিনি অ্যাটিয়া উঠিতে পারেন না । সে কোন কথাই গায়ে মাখে না-সব কথাই হাসিয়া উড়াইয়া দেয় : কমলাকে বলে, “তুই কেন মুখ শুকিয়ে থাকিস, ভাই ? আমি ত কিছু মনে করি নি! তুই থাকতে আমার এখানে আসা কেউ বন্ধ ক’রুতে পারবে না। কাকী-মা যদি পথে কঁাটা দেন-সরিয়ে ফেলেও আসব, যদি ঝাটা বুলিয়ে রাখেন—তলা দিয়ে গ’লে আসব, যদি বাড়ী ঢুকতে না দেন, তবু জানাল দিয়েও একবার তোকে উকি মেরে দেখে যাব-দু’টো কথা ক’য়ে যাব ।” কাত্যায়নী একদিন বধূর শাসন করিয়া কক্ষ হইতে নিক্ৰান্ত হইবার . لم