পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা বিধানের জন্য তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া। তুলে। অগত্যা তিনি গৃহিণীকে মিষ্ট কথায় একটু সাবধান করিয়া দিতে বাধ্য হুইয়াছিলেন। সেই হইতেই কাতায়নীর এই নির্বিগ্নভােব । পুরুষেরা কেহ বাড়ীতে নাই-বিষয়কৰ্ম্মের অনুরোধে নীলকমলও স্থানান্তরে গিয়াছেন। বৃষ্টির দিনে সকলেই সকাল সকাল কাজ সারিয়া সন্ধ্যার পরেই ঘরে প্রবেশ করিয়াছিল । মোহিনী কাত্যায়নীর পা দুইখানি কোলে লইয়া টিপিতে টিপিতে বলিল, “কত্তা বাবুর ওপরে তোমার রাগ করা মিছে, মা ! তার দোষ কি ?--ছোট বাবুরও দোষ নেই ; বউঠাকরুণ যদি সব কথা পুরুষের কাণে না তোলেন ত কোন (:5ब्छें छ्श न ” কথাগুলিতে কি বৈদ্যুতিক শক্তি নিহিত ছিল বলা যায় না, তাত শুনিয়াই কাত্যায়নী একবারে দাড়াইয়া উঠিলেন, এবং কাপড়খানি কষিয়া পরিয়া, চুলগুলি জড়াইয়া বাধিতে বাধিতে কমলার কক্ষাভিমুখে ধাবিত হইলেন । কমলা কক্ষতলে পড়িয়া ভাবিতে ভাবিতে ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল ; অকস্মাৎ কাত্যায়নীর সরোষপদাঘাতে তাহার নিদ্ৰাভঙ্গ হইল। সে সবিস্ময়ে ক্ৰকুটকুটিলানিনা শ্বশ্রা-ঠাকুরাণীর মুখের দিকে চাহিয়া রহিল, ব্যাপারটা কিছুই বুঝিতে পারিল না। কাত্যায়নী উপযুপরি পদচালনায় পরিশ্রান্ত হইয়া হাঁপাইতে হাঁপাইতে কমলাকে বিবিধ কটু ও গ্রাম্য ভাষায় ভৎসনা করিতে করিতে বলিলেন, “তোকে ভিটে-ছাড়া ক’রতে না পারলে আর আমার কিছুতেই শান্তি নেই।” কমলা আজ প্রথম দিন তাহার পিতার অনুশাসন লঙ্ঘন করিয়া G8