পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমল কঁদিতে কঁাদিতে বলিল, “তইতেই যদি তুমি সুখী হও, মা, তাই কর— সবার মত ক’রে আমাকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দাও!” কাত্যায়নী জলিয়া উঠিয়া বলিলেন, “তবে লা নাগােনী—ঘরভাঙ্গনী— শতেক খোয়ারী ! মত ক’রব। আবার কার লো ? আমি কেউ নই বািট ? 'তুই এখনি—এই দণ্ডে আমার ভিটে থেকে বের!—বের ব’লছি, নইলে মোহিনীকে দিয়ে গল টিপিয়ে বা’র ক’রে দেওয়াব ।” রাত্রিকাল—তাহাতে মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি, অন্ধকার । নীলকমল বাড়ীতে নাই—বিরাজ দূরে! বাড়ীর বাহির হইয়া কুলবধূ; কোথায় যায় ? কমলার মাথায় যেন আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল। কুপিতা শ্বশ্রাদেবীকে প্রসন্ন করিবার অভিপ্ৰায়ে সে তাঙ্গার পা দুইটিকে জড়াইয়া কঁাদিতে লাগিল। তিনি পা ছিনাইয়া লইয়া মোহিনীকে একটা অতি নিষ্ঠুর কাজ করিতে আদেশ করিলেন । কমলা তাহা শুনিয়া, একবার চক্ষু হইতে অঞ্চল অপসৃত করিয়া মোহিনীর দিকে কটাক্ষ করিল। মোহিনী সেই বয়সে অনেক রকম দেখিয়াছে, কিন্তু এমন অভিমানশ্রুদিগ্ধ দীর্ঘনয়নের সগৰ্ব্ব, কাতর দৃষ্টি তাহার চক্ষে এই নূতন। সে কাত্যায়নীর নিষ্ঠুর আদেশ পালন করিতে সম্মত হইতে পারিল না। তখন কাত্যায়নী স্বয়ং কমলার চুলের বঁটী ধরিয়া, তাহাকে নিম্নে টানিয়া লইয়া গেলেন এবং সত্য সত্যই সেই রাত্রিকালে বয়স্থ পুত্র-বধূকে গৃহের বাহিরে রাখিয়া আন্তঃপুরদ্বার রুদ্ধ করিয়া আসিলেন । কাত্যায়নী উপরে আসিয়া স্বচ্ছন্দে শয়ন করিলেন । মোহিনীর কৌতুহল তাহাকে সুস্থির হইতে দিল না। সে অল্পক্ষণ পরেই নামিয়া, নিঃশব্দে দ্বারটি খুলিয়া বাহির হইল ; কিন্তু কমলাকে সেখানে দেখিতে αα )