পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা হ্যনন্ত কাল ধরিয়া অনন্ত যাতনায় আকুল হইয়া ধ্ববান্তময় নির্জনে কঁাদিয়া দিয়া বেড়াইতে হয় । মরিয়া সকলে যেদিকে যায়, সে সেদিকে যাইতেই "ারে না-মৃত আত্মীয়গণের সঙ্গে মিলিত হইতে পারে না । যে মরুণ এ মন সে মরণ কে চাহে, কিন্তু না মরিয়াই বা সে কোথায় যায় ? তাহার * · ४ ट्रेि'ऊ' ८िऊ द्वल5ि6 ।। জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিদেশে দাড়াইয়া কমলা কঁদিতে কঁাদিতে ভাবিতে "াগিল, এমন কে আছে যে জানে—নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারে, আত্ম গভীর গতি কি প্রকার ? এমন সময়ে সে শুনিতে পাইল, তাহার অনতি*ল পশ্চাতে কে যেন কঁাদিতে কঁাদিতে-হঁপাইতে হঁপাইতে - আশঙ্কা ৎ উদ্বেগবিজড়িতকণ্ঠে তাহাকে ডাকিতে ডাকিতে সেই দিকে ছুটিয়া আসিতেছে! অন্ধকার তাহাকে ঢাকিয়া রাখিলেও কণ্ঠস্বরেই কমলা বুঝিতে পারিল, সে কে। যে গৃহ ছাড়িয়া সে মরণের দেশে পলাইতে চাহে এ যে তাহাকে সেই গৃহে ফিরাইয়া লইয়া যাইবার জন্যই আসিতেছে তাহা বুঝিয়াও সেই স্নেহপূর্ণ ব্যাকুল হৃদয়ের আকুল আহ্বান উপেক্ষা করিয়া জলে ঝাঁপাইয়া পড়িতে তাতাকে একটু ইতস্ততঃ করিতে হইল। ইত্যবসরে তরঙ্গিণী আসিয়া একেবারে জলে নামিয়া কমলাকে বাহুবন্ধনে বঁাধিয়া (कवित्न । মোহিনীর কথায় হীরালালের ধারণা হইয়াছিল, কমলা তাহাদেরই গুহে আশ্রয় লইয়াছে। সে বাড়ীতে আসিয়াই অনুচ্চস্বরে তরঙ্গিণীকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিল,“বিরাজের বউ কোন ঘরে ?” তরঙ্গিণী অবাক হইয়া কিয়ৎক্ষণ হীরালালের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। হীরালালতাহার বিস্ময়ভাবকে বিস্ময়ের অভিনয় ভাবিয়া লইয়া বলিল, “বল না-আমার কাছে আর ঢাকাছ কি ? আমি ’এইমাত্র মোহিনীর মুখে সব শুনে আসছি। তা Cd