পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা tf মোহিনীকে দিয়ে ঋণােটাপেটা ক’রে বিদেয়।”ক’রব-আর যে ঘরে ঠাই দেবে তাকেও বুঝে নেব।” তরঙ্গিণী সে ভয়ে পিছাইল না । কমলাকে টানিয়া লইয়া সে আপনার ৭াড়ীতে ফিরিয়া আসিল । অতি প্ৰত্যুষে পল্লী জাগ্রত হইতে না হইতে ঠীরালাল একখানা পান্ধী ডাকিয়া দিল । কমলার ইচ্ছা না থাকিলেও তিরঙ্গিণী অনেক বুঝাইয়া জানাশুনা একজন মেয়েলোক সঙ্গে দিয়া তাহাকে 4াপের বাড়ী পাঠাইয়া দিল এবং বাপের বাড়ীতে পা দিয়াই সব কথা পৃলিয়া লিখিয়া বিরাজকে একখানা পত্ৰ দিবার জন্য মাথার দিব্য দিয়া পুনঃ পুনঃ বলিয়া দিল । প্রভাতে প্রকৃতি আবার শান্ত মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে। কত দিনের পর সূৰ্য্য দেখা দিয়াছে, কিন্তু কিরণের বেশ তেজ নাই ; তখনও নীল আকশের মাঝে মাঝে নীল সমুদ্রের বক্ষে ফেনা-জামাটের মত ভাঙ্গা ভাঙ্গা শাদা শাদা মেঘ ভাসিয়া বেড়াইতেছিল। কাত্যায়নীর মুখের ভাবাটাও কতকটা সেইরূপ। কমলা তাহার দুঃস্বপ্ন, দূরদৃষ্ট, কণ্ঠালগ্ন কণ্টক-সে। দূর হইয়াছে, তাহার মুখে হাসি দেখা দিয়াছে; কিন্তু সে হাসিটার বেশ জোর ছিল না। তাহারও প্ৰফুল্প মুখের উপরে মাঝে মাঝে যেন কি একটা দুর্ভাবনার ছায়া ভাসিতেছিল। মোহিনী প্ৰভাতে বাহির হইয়া কমলার বাপের বাড়ী যাওয়ার সংবাদ আনিয়া দিবার পর হইতেই কাত্যায়নীর মনটা যেন কিছু উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিতেছিল। মধ্যাহ্নে তিনি মোহিনীকে ডাকিয়া লইয়া নিজ কক্ষে Vs