পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभलl প্ৰবেশ করিলেন এবং ‘কাত্তা” ফিরিলে কমলার পলায়ন-সংবাদটা কি ভাবে প্ৰকাশ করিলে সুবিধা হয় সেই বিষয়ের একটা পরামর্শ করিতে বসিলেন। মোহিনী শুধু তাতার পরিচারিকা নিতে ; পরকীয় রহস্য আহরণে সে তাহার চর, সংবাদ পরিচালনায় দূতী, কাৰ্য্যবিশেষে দাসী, করণীয় বিষয়ে মন্ত্রী-আর তঁাহার গম্ভীর প্রকৃতিতে রঙ্গ রস যদি সম্ভব হইতে, তবে “রঙ্গে সখী’ও বলা যাইতে পারিত । মন্ত্রণা অনেকক্ষণ ধরিয়া হইল। সিদ্ধান্ত কি হইল কে জানে ? সকলে দেখিল, কাত্যায়নীর মুখের মেঘট সম্পূর্ণ কাটিয়া গিয়াছে—তাহ! অস্বাভাবিক প্ৰফুল্লা! আর মোহিনীর মুখের ভাবটা অস্বাভাবিক গম্ভীর । মোহিনী অপরাহে অন্যান্য দাসদাসীকে কুড়েমির জন্য বকিতে বকিতে একটা জলপূৰ্ণ কলসী লইয়া তাতার জলটুকু সব গৃহ প্রাঙ্গণে রোপিত একটা যুথিকার মূলে ঢালিয়া দিল। শ্রাবণ মাস—যুথিকা মানুষ্যের জল সেক চাহে না, কিন্তু মোহিনী চাহে শূন্য কুম্ভ, সে তাঙ্গ লইয়া গঙ্গাজল আনিতে বাহির হইল । সাধারণে যে ঘাট ব্যবহার করিয়া থাকে তাহার কিছু দূরে বহুকালের একটা বাধা ঘাট ছিল । তাহার ধাপগুলি সবই পােকায় খাওয়া দাতের মত ক্ষয় ক্ষয়া আর বহুবিধ আবর্জনায় পূর্ণ। ঘাটে যাইবার পথের দুই দিকেই বন-পথও খুব সঙ্কীর্ণ এবং অপরিচ্ছন্ন। নূতন ঘাট ছাড়িয়া কেহই সে ঘাট ব্যবহার করে না । মোহিনীর কিন্তু সেই ঘাটটি ভিন্ন অন্য ঘাটের জল পছন্দই হয় না। ঘাট ভেদে জল ভিন্ন হয় না ; কিন্তু কেহ জল তুলিবার জন্যই ঘাটে আইসে, আবার কেহ বা ঘাটে আসিবার জন্যই জল তুলিয়া থাকে। হীরালাল প্রত্যহ সন্ধ্যার পূর্বে সেই ভাঙ্গা ঘাটে ७२ ]