কমলা না ইত্যার কি মহিমা । বৈদান্তিকী ব্ৰাহ্মী মায়ার মত ইহার শক্তিও “অঘটন। ঘটনপটীয়সী’-ই তার প্রভাবে অসম্ভবও সম্ভব হইয়া থাকে। মোহিনীর সাক্ষাদানের পরেও নীলকমলের মনে ঘেটুকু সংশয় ছিল। গৃহিণীর অশ্রুতে সেটুকু ক্ষালিত হইয়া গেল। তিনি বিনা প্ৰতিবাদে সব কথা সত্য বলিয়া মানিয়া লইয়া ধীরে ধীরে বলিলেন, “তাই ত এমন ছোট লোকের মেয়ে ঘরে আনা গিয়েছিল সে বাড়ীতে একটি দিনের জন্যেও শান্তি নেই ।” অশ্রুতে ‘কাত্তা’র মনটা ভিজিয়াছে বুঝিয়া কাত্যায়নী অঞ্চলে চক্ষু, মুছিয়া, স্বকপোল-কল্পিত পদাবলীতে বিবিধ অলঙ্কার যোগ করিয়া পুত্ৰবধুত্ব অপরাধ বৰ্ণনা করিতে আরম্ভ করিলেন । কমলার সামান্যদোষাখ্যাণেও অতিশয়োক্তিই হইল কাত্যায়নীর স্বাভাবোক্তি, এবার বিষয় যেমন গুরুতর বর্ণনাও তদনুরূপই হইল ; তবে অলঙ্কার আগাগোড়াই অপহর্মুতি । উপসংহারে তিনি নিজের স্তির সঙ্কল্প ব্যক্তি করিয়া বলিলেন যে, সে দুর্বিনীতাকে যদি পুনৰ্ব্বার গৃহে লইবার ব্যবস্থা হয় তবে তিনি আর সে গৃহে অন্ন জল গ্ৰহণ করিতে থাকিবেন না।-উদ্বন্ধনে, বিষপানে অথবা প্ৰায়োপবেশনে প্ৰাণত্যাগ করিবেন। মোহিনী প্ৰভু-পত্নীর সহিষ্ণুতা ও ক্ষমার যথাসাধ্য প্ৰশংসা করিয়া বলিল, “ওগো আমি তবু কত ব’ল্লাম যে, বউদিদি, কত্তা বাবুর আসঃ অবধিও না থাক, রাত্তিরাটে পোয়াতে দাও, পান্ধী ডেকে দেব-সকালে যেও ! ও বাবা । মেয়ে যেন উস্কোপাত ! কার বাপের সাধ্যি ধ’রে রাখে ! হ্যা গা! ভান্দর ঘরের বউ, তায় সমৰ্থ বয়েস, তায় রাত্তির কাল, তায় মেঘ, অন্ধকার, ঝড়, বিষ্টি । আর তাই কি এপাড়া ওপাড়া গা ? ও মা ! এক Գo 1
পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৬
অবয়ব