পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা; mu p মাটীতে গােটাকতক দাগ কাটিয়া কাটাটাকে দূরে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । বিরাজ। আচ্ছা—তোর কি বিশ্বাস বড় বউঠাকরুণের একার কথাই সত্যি, আর সকলেই মিছে কথা ব’লছে ? তাই না হয় বিশ্বাস ক’রলুম। : কিন্তু সে নিজেও কি নিজের বিরুদ্ধে মিছে ক’রে লিখবো ? তার চিঠি ত তোকে দেখিয়েছি। ” সুধাংশু এইবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বিরাজের কথার উত্তরে বলিল, “মিছে ক’রে লিখবেন কেন, তা ব’লতে চাই না। তবে সে চিঠিীর কথাগুলি যে সত্যি নয় তাতে আমার এক তিল ও সংশয় নেই।” বিরাজ হাসিয়া বলিল, “তার মানে সুধাংশু পাগল বই আর কিছুই নয় ! ন-সুধা ! বুদ্ধির দোষে আর যাই করুক, মিথ্যেটা একেবারেই তার স্বভাবের বিরুদ্ধ।” সুধাংশু তাত্ৰস্বরে বলিল, “তা আমিও জানি, দাদা ! আপনার জন্তে, তিনি মিছে ক’রে কিছু ব’লতে চান না ; কিন্তু যে সত্যির ফলে গৃহবিবাদ, মাতা পুত্ৰে বিচ্ছেদ, সুখের সংসারে অশান্তি, সে সত্যিও যে তঁর কাছে মিথ্যের চেয়েও অধম তা কি তুমি এত দিনেও বুঝতে পার নি ? এই কয় বৎসর ধরে তঁর মাথার ওপর দিয়ে কত ঝড় ব’য়ে গেছে, সেকথা কে জানে-কে শুনেছে ? ঘূণাক্ষরেও কি তিনি সে সব কথা কখনও প্ৰকাশ ক’রেছিলেন ?” সুধাংশু একটা দীর্ঘশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া নীরব হইল। বিরাজও উত্তর করিবার মত কিছুই খুজিয়া পাইল না। দুই জনেই নীরবে বসিয়া রহিল। সেই ভাবেই কিছুক্ষণ চলিয়া গেল। নীল গগনে এক একটি করিয়া তারা প্ৰকাশ পাইতে লাগিল। তীরভূমিতে প্রদোষের ছায়া নামিয়া আসিল। তীর-বনরাজির মধ্যে রাত্রির as )