পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা ফেলতে নেই, মা ! কেন, ত’তে আর হ’য়েছে কি ? এইবার একবার তোমাকে শ্বশুরবাড়া পাঠাতে পারলেই আমি যে ক'টা দিন বাচব্বি একটা স্ত্রীর্থে গিয়ে থাকব। দুঃখ এই যে এত ক’রে ও তোমাকে সুখী ক’রুতে পারলুন না ।” সূৰ্য্যনারায়ণ একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া নীরব হইলেন ; কমলা অশ্রু মুছিয়া গম্ভীরভাবে বলিল, “না-বাবা ! দেন রাখা ভাল। নয় ; জনী জমা, স্বাস্তুভিটে সব বেচে ও না। কুলোয় আমার যে ক’খানা গয়ন আছে বেচে তুমি তাঁরদাদার দেন। শোধ করা। কিছু থাকে, নিয়ে চল একটা তীর্থে চ’লে নাই !-তুমি পূজো আহ্নিক নিয়ে থাকবে, আমি তোমার সেবা শুশ্ৰণী নিয়ে থাকব ।” সূর্যানারায়ণ উচ্চজ্ঞাসা করিয়া বলিলেন, “পাগল মেয়ে ! কিছুই ক’রতে হবে না, মা । আমি মনে ক’রেছি একদিন গিয়ে বিরাজের বাপের সঙ্গে দেখা ক’রব। -- তার সঙ্গে দেখা করা মিছে। পত্র লিখলাম তার ত কিছু জবাবই দিলে না ।” কমলা । না-বাবা ! তুমি কা’র ও কথা সইতে পার না ; আমি.মিছে জন্মেছিন্ন, তোমার কিছুই ক’রতে পাবলুম না—শুধু তোমার দুঃখের ভারই ভাবী ক’রে দিচ্ছি। তা ব’লে যে তুমি আমার জনো অপমান হ’তে কোথাও যাবে, তা আমি প্ৰাণ থাকতে দেব না। আর আমি জানি ত’তে किछूछे अद9 न। সূৰ্য্যনারায়ণ-“তোমার সুখ দুঃখের চেয়েও কি আমার মান অপমান বড়, ম”—বলিয়া একটু চুপ করিয়া থাকিয়া, একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “থাক্‌-এত দিন গেছে আরও দিনকতক দেখি!” : , কমলা কিছুক্ষণ বসিয়া থাকিয়া, গৃহকৰ্ম্মে উঠিয়া গেল । re ]