পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

可飒。 সেই নিমেষের দেখায় তৃপ্তি হইল না। কিন্তু পুনৰ্বার চাহিয়া সে তৃপ্তির পরিবর্তে একটা ব্যথা পাইল - কমলা মাথার কাপড়, টানিয়া, নামাইয়া দিয়া চোখ মুছিতে মুছিতে চলিয়া গেল। সূৰ্য্যনারায়ণ জামাতাকে সাদরে অভ্যর্থনা করিয়া, নিকটে বসাইয়া কুশলাদি জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। অভিমানের যত কথা তঁহার মনে সঞ্চিত ছিল, সব গভীর আনন্দে তলাইয়া গেল। এখন তাহার মুখে যত কথা সব আনন্দের আর আশীৰ্ব্বাদের । অনঙ্গ আহিলাদে আটখানার দ্বিগুণ হইয়া কোথায় কাহার বাড়ীতে দুধ, কোন দোকানে ভাল সন্দেশ, কাহার গাছে কি ফল পাকিয়াছে, তাহারই সন্ধান করিয়া ঘুরিতে লাগিল। কমলার মনটা কিন্তু বিরাজকে স্বেচ্ছাগত দেখিয়াও ঘনদর্শনপুলকিত ময়ুরের ন্যায় নৃত্য করিতেছিল না। - তাহার বিষাদ-সিন্ধু আজ যেন ইন্দুসন্দর্শনাকুল জলধির ন্যায় উথলিয়া উঠিতেছিল। কোনরূপে নয়নের উৎস নিরুদ্ধ করিয়া গৃহকৰ্ম্ম শেষ করিতে লাগিল। অনঙ্গ আসিয়া যেমন শুনিল, বিরাজের অসুখ-সে। কিছুই খাইবে না, কে যেন লাঠী মারিয়া তাহার পা দুইটিকে ভাঙ্গিষা দিল-সে আর উঠিতে চাহিল না। সূৰ্য্যনারায়ণকে খাওয়াইয়া কমলা অনঙ্গকে ভাত বাড়িয়া দিল । অনঙ্গ আজ তাহা লইয়া নিজের ঘরে চলিয়া গেল। কমলা বিরাজের জন্য একটু দুধ ও সামান্য কিছু মিষ্ট লইয়া শয়ন কক্ষে প্রবেশ করিয়া দেখিল, সে উপাধানে মুখ লুকাইয়া শয়ন রহিয়াছে। যাহা যাহা আনিয়াছিল নিঃশব্দে মেজেতে নামাইয়া রাখিয়া, সে ধীরে ধীরে বিরাজের কাছটিতে আসিয়া দাড়াইয়া নীরবে অশ্রু মুছিতে লাগিল। { , , , অনেকক্ষণ পরে বিরাজ শ্যার উপরে উঠিয়া রসিয়া বলিল, “এখন আর মিছে, কঁদলে কি হবে, কমলা। আপনার কপালে য়ে তুমি আপনি છે