পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা Reekse-E প্ৰতি সন্তান ও স্বামীর বিভিন্ন কৰ্ত্তব্যের সেই বিপ্ৰতিষেধ-সেই উভয়সঙ্কট আবার নূতন হইয়া ফিরিয়া আসিল। বিবাহের সঙ্কল্পটাও যেন তাহাতে ভাঙ্গ ভাঙ্গ হইয়া পড়িল । অতীতের শত স্মৃতি শত আশীবিষের ন্যায় তাহার মৰ্ম্মে দংশন করিতে লাগিল । নবোঢ়া কমলার সেই লজ্জামৌন মুখ—সেই ব্ৰীড়াবনত নেত্রের চঞ্চল অপাঙ্গদৃষ্টি-ন্যবানুরাগের সেই সব আনন্দালাপ, অভিমান, সোহাগ, অনিমিত্ত কলহ এবং কলহের অবসানে সেই মধুর মিলন—সব একে একে পুঞ্জে পুঞ্জে আসিয়া তাহার হৃদয়কে অবরুদ্ধ ও আকুল করিয়া তুলিল , , , , , অনেকক্ষণ সেইভাবে বসিয়া চিন্তা করিয়া, féo (একটা দীর্ঘশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিল-“সে সব কথা এখন কেন, কমলা ? যে জন্যে ՀյՇ*i এখন শোন !—তুমি যে,গয়নাগুলি প’রে এলৈছিলে, भl आीहरू সেইগুলি हिन्न যাবার জন্যে পাঠিয়েছেন । তোমার ब.ि আপত্তি না সেইগুলি আমাকে এনে দাও! তবে আমার এই অনুরোধ যে তোমার বাবা যেন এখন এ সকল কথা না জানতে পারেন.” । । বিরাজ বিবাহে সম্মত হইলে পর নীলকমল যখন গৌরীনাথকে সংবাদ পঠাইয়া ৰিৰাহের উদ্যোগ লইয়াই ব্যস্ত, কাতায়নী সেই সময়ে মোহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করিয়া, বিবাহের পূর্বেই বিরাজের দ্বারা এষ্ট কাৰ্য্যটা সারিয়া লইবার চেষ্টায় ছিলেন। বিরাজকে এই ক্লাৰ্য্যে প্রেরণ করায় মোহিনীর সম্পূর্ণ অনুমোদন ছিল না। কাতায়নীও নিঃশঙ্কচিত্তে এই “ডাইনের হাতে পো সমৰ্পণ”এর ব্যাপারে রাজী হন নাই। তৰে “ভারী ভারী গয়না ক’খানা যে চূড়ান্টার বাপ এক একখানা ক’রে বেচিতে থাকবে। আর বাপে বিয়ে পায়ের ওপর পা দিয়ে বসে বসে থাৰে”-এ চিন্তাটাও তাহার একেবারেই অসহ। পূৰ্ব্বসাবধানকল্পে তিনি মাথার দিৱ্য [ ৯৩