পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিদাসী ও ভগবতী। 이 বান্ধবের নিকট চিত্ত-চাঞ্চল্য জানাইয় আপন প্রণয়ের গুৰুত্ব প্রকাশ করেন। সংক্ষেপে তিনি আধুনিক যুবক দিগের অনেক ভােব ত্যাগ করিতে পারেন নাই । আজি তিনি দিবস হরিদাসীর স্বামী তাহার শ্বশুরালয়ে সমাগত । হরিদাসীর আহ্লাদের পরিসীমা নাই। এই সুখদ নিশিতে দম্পতীদ্বয় কত প্রকার কথা বাৰ্ত্তা করিতেছিল। দক্ষিণদিকের বাতায়ন উন্মুক্ত। হরিদাসীর মুখখানি হাসি ভরা ; একে জ্যোৎক্ষ রজনী, তায় বসন্তকাল, তার আবার বুর বুদ্ধ করিয়া বাতাস বহিতেছিল, বল বাহুল্য যে আজি হরিদাসীর এ আনন্দ ধরিতেছিল না। বিশেষতঃ হরিদাসী অতি অলপদিন মাত্র স্বামী পাইয়াছে, এখন তাছার ইচ্ছু যে ভগবতীকে একদণ্ড চক্ষু অন্তরাল করে না, কিন্তু আশার পরিতৃপ্তি নাই, সততই বলে “ নয়ন না তিরপিত ভেল। ” , হরিদাসী ভগবতীর দুই স্কন্ধে দুটি হস্ত প্রসারণ করিয়া সহাস্যবদনে তাহার বদন প্রতি চাহিল। ভগবতী মধুর হাস্যসহকারে হরিদাসীর দুই গণ্ডে দুটি হস্ত প্রদান করিয়া সেই মুকুমার অধরে আপন অধর সংযুক্ত করিলেন । হরিদাসী তাহার চক্ষুদ্বয় নিমিলিত করিল, মনে হইল, এ চুম্বনেও পরিতৃপ্তি নাই, ইচ্ছু করে “ বৎসরেক থাকি পড়ে প্রত্যেক চুম্বনে । ”