পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখের উপর দুঃখ। 8(t কমলা সরোদনে বলিল “ ঠাকরণ দিদি ! আমার কাটা ঘায়ে আর মুনের ছিটে দিস নে, একে বিধাতার ইচ্ছায় বাল বিধবা, তায় তোরা আপনার লোক হয়ে কোথায় দুঃখ প্রকাশ কর বি, না বিদ্রুপ করছি । নাপিত দিদি, তোর পায়ে পড়ি আমায় ওসব কথা বলিস না, ঈশ্বর না করুন, আমার গর্ভ হ’লে তোমায় ডাকুব কেন, তোমার সহায়তা লব কেন ? ভ্রণ হত্যা ! প্রাণ চমৃকে উঠে,—তোমায় পূর্বে ভাল মানুষ বলে জানৃতাম, এখন ঘোর নারীরূপিণী রাক্ষসী বলে জানলাম। নাপিতদিদি এই যে সামান্য অর্থলোভে শত শত ভ্রুণহত্যার কারণ ছও, তা একবারও কি মনে ছয় না যে মরতে হবে, ঈশ্বরের কাছে জবাব দিতে হবে। নাপিত দিদি, তোমার পায়ে পড়ি আমার মুমুখ থেকে যাও, তোমার মুখ দেখে আমার রাগ হচেচ । নাপিতনী তখন রোষপরবশ হুইয়া বলিল “অ্যা, তোর যা মুখে এল তাই বল লি, লেখা পড়া শিখে ৰিঙ্গি হয়েছিস নাকি ? এর বেলা লেখা পড়া নেই, এই হারাণীর পায় পড়তেই হবে, আমি কার কি করেছি ল', কার উপকার বই অনুপকার করেছি ? তোর মা কত বলেছিল তাই ভাবলুম মৰুগে একটা ঘর যায়, না হয় একটু উপকার করি, ওমা তায় এত কথা, এই চল লাম।”