পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুশোচনা। 8% না, আজি রামধনের মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। রামধন গৃহের নিভৃত কোনে বসিয়া ভাবিতেছেন “ হায় কেন তখন আমার বন্ধুর কথামত কমলার বিবাহ দি নাই, তাছা হইলে পিতার উপযুক্ত কার্যও হুইত, আর এরূপে অপদস্থ হইতেও হুইত না। বিবাহু না দিয়াও সমাজ হইতে বিচু্যত হইতে হইতেছে, না হয় কমলার বিবাহ দিয়া, কমলার চক্ষের জল মুছিয়া সমাজ ত্যাগ করিতাম । সমাজই বা ত্যাগ করিতে হুইত কেন, আমি বিবাহ দিলে আরও অপরে বিবাহ দিত, কালে তাহাদিগকে লইয়া নুতন সমাজ সৃষ্ট হইত, আমি স্তন সমাজ পাইয়া আবার সুখী হইতাম, কিন্তু আমি ঘোর মূখ, ঘোর নারকী, জগদীশ্বর অন্ধতার শাস্তি দিতেছেন, আমার স্ব্যর্থপরতার দণ্ড দিতেছেন। আমি আমার একমাত্র কন্থা, সাধের কমলার বলবতী ইচ্ছা সত্ত্বেও তাছার বিবাহ না দিয়া তাহার মৰ্ম্মে গুৰুতর আঘাত দিয়াছি, তাহাকে দিবানিশি কাদাইয়াছি, ঈশ্বর, সেই সৰ্ব্বশক্তিমান পরদুঃখ কাতর ঈশ্বর কেন তাহ সম্ভ করিবেন, তিনি আজি তাছার প্রতিশোধ দিতে ক্ষিপ্ৰহস্ত। এখন আমার উপায় কি ? আজি সমাজ ত্যাগ করিব, না আমার প্রাণের দুহিতা কমলাকে ত্যাগ করিব ? আছ ইড়র প্রাণীরাও যত্নসহকারে তাছাদের সন্তান সন্তউীকে