পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ა ფ. কমলা । হইতে হুইবে তাস্থা সে স্বপ্নেও ভাবে নাই। দেশের, স্বগ্রামের লোক, যাহাদের সহিত শৈশবাবধি কত সহানু ভূতি তাছারাই যখন এত অত্যাচার করিতে উদ্যত, তখন বিদেশে অপরিচিত লোক যে কত অত্যাচারই করিবে, তাছা স্মরণ করিয়া কমলার প্রাণ চমকিয় উঠিত। কমলা যখনই একাকিনী থাকিত, তখনই আকুল নয়নে কাদিত। প্যারীর জন্ত হৃদয় কাদিয়া উঠিত, যে প্যারীকে অবিরত দেখিয়াও হৃদয় পরিতৃপ্ত হুইড না, আজি আর সে প্যারীর সাক্ষাৎ মাই, আর কখন সাক্ষাৎ হইবে কিনা তাহাও সন্দেহ। কমলা এত দুরবস্থাপন্ন হইয়াও যখন প্যারীর বদন মাধুরী হৃদয়মধ্যে ধ্যান করিত, তখন সে এই ক্রর জড়জগতের অস্তিত্ব বিস্তুত হুইত, সমাজের নিষ্ঠুরতা ভুলিয়। যাইত। তখন তাহার হৃদয়ের দাৰুণ বেগ প্রশমিত্ত হুইয়া শান্তি ও সন্তোষের আলয় श्ऊ । কমলা প্যারীকে এক প্রাণে ভালবাসিত, সে ভালবাসার বিমল জ্যোতিঃ কমলার মনকে উন্মত্ত করিয়াছিল, এবং যতই প্যারীর প্রণয় মূৰ্ত্তি হৃদয় অধিকার করিতে লাগিল, ততই প্রাণকে উন্মত্ত করিয়া তুলিল । কমলা এত ভালবাসিয়াও প্যারীকে আত্মসমপণ করিতে পারে নাই, মনে মনে ভালবাসিত, প্রাণে প্রাণে