পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাস । ჯტ পল্লিগ্রাম আছে যেস্থানের লোকেরা মনে করিলে অনায়াসে দল বদ্ধ হইয়া এক জনার বিশেষ অনিষ্ট করিতে পারে। অভাগিনী কমলার অদৃষ্টে তাছাই ঘটিল। পিতা মাতার সহবাস, সেই শৈশব কালের পিত্রালয়, যাহা সে অমরাবর্তী বলিয়া জানিত, তাছা এক্ষণে অনেচ্ছায় সমাজের দৃঢ় শাসনে তাহকে পরিত্যাগ করিয়া যাইতে হুইল । গ্রামের এক প্রান্তভাগে, অতি দুঃখে দিনাভিপাত করিতেছিল, ইছাতেও লোকে বাদ সাধিতে উদ্ভুক্ত হইল। গ্রামস্থ প্রতিবাসিনীরা কমলার দুঃখে সহানুভূতি বা দুঃখ প্রকাশ করিতে মধ্যে মধ্যে সে স্থানেও যাইত, সমাজের দিগগজ পণ্ডিভবরেরা তাহ ভাল বুঝিল না, এ সমস্ত গুৰুতর গর্হিত কাৰ্য যাছাতে নিবারিত হয় তাহার চেষ্টা হইতে লাগিল। আপন আপন পরিবারদিগকে নিষেধ করিতে সাহস হুইল না, শেষ স্থির হইল, কমলা যাহাতে গ্রামে থাকিতে না পায়, সে থাকিলেই গ্রামস্থ স্ত্রী-লোকেরা তাছার নিকট যাইবে, অসতীর সহবাসে অপরারচরিত্র কলঙ্কিত হইবে,ইছাই সমাজের গৃঢ় রহস্য! সুতরাং তাছারা একে একে কমলার প্রতি অন্যায় আচরণ আরম্ভ করিল। কমলা দেখিল নিৰুপায়, সকলেই তাহার বিৰুদ্ধে খড়গ্ন হস্ত। অবল অসহায় বালিকার আর কে সহায় হুইবে ? এই অবকাশে বিষাদ তাছার সছিঙ ঘোরতর