পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ উপায়। જીના রামধন । আশা আতি কম । শ্যামমোহিনীর চক্ষু জলে পূর্ণ হইল সরোদনে বলিলেন “ জগদীশ্বর ! এ জগতে এ হতভাগিনীর কমলা ব্যতীত্ত আর কেহই নাই। দয়াময়! অন্ধের যটি আমার সেই সৰ্ব্বস্ব ধনের কি হবে নাথ ? আমি যে কেবল কমলার চাদমুখ দেখেই বেঁচে আছি। হা দেশাচার, হা সমাজ, তুই আমার কি সৰ্ব্বনাশ করলি, একজন নিরপরাধী অবলার সকল সুখ নষ্ট কলি । হা ঈশ্বর ! আমার এ মৰ্ম্মভেদী ক্ৰন্দন কি তোমার চরণভল স্পর্শ করবে না ? দয়াশূন্য মায়াশূন্ত অন্ধ সমাজের কি চেতনা হবে না ? ? রামধন বলিলেন “ আর কেঁদনা, এখন আর ত উপায় নাই । ” শ্যাম । কেন উপায় নাই, ঈশ্বর কৰুন আমার কমল৷ বাচ্গ, কেন উপায় হবে না। রাম । সে কথা বলতে । শ্যাম। এখন এক কাজ কর, কমলা প্যারীকে দেখতে পাগল হয়েছে, যাতে একবার প্যারীকে দেখতে পায় তা কর, নইলে কমলা আমার বঁাচবে না। রাম । উপায় ? শ্বাম। আমি মেয়ে মানুষ আমি কি উপায় স্থির করব, যাতে ভাল হয় তাই কর।