পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা । אלף অন্ধকার দেখিতেছিল, সেই কোমল স্বৰ্গতুল্য হৃদয়ে একমাত্র কমলার ছবি অধিকার করিয়াছিল । হরিদাসী কমলাকে দেখিবার জন্ত পাগল হইয়াছিল। ভগবতী ও হরিদাসী দিব প্রায় সাৰ্দ্ধ তিন ঘটিকা উত্তীর্ণ হুইলে দেবানন্দপুরে উপস্থিত হইলেন। তাছার যখন কমলার মাতামহীর আলয়ে উপস্থিত হইলেন, তখন কমলা নিজাববৎ শয্যায় শায়িত রছিয়াছে। হরিদাসী ও ভগবতীকে দেখিয়া কমলার প্রভাহীন বদন কমল যেন অলপ প্রভাসম্পন্ন হইল। কমলা সাংলাদে হরিদাসীর হস্তধারণ করিল। হরিদাসী বিস্ময়ান্বিত নয়নে কমলার বদন প্রতি চাহিয়৷ রছিল। তাহার এই ভয়ঙ্কর অবস্থ! দেখিয়া হরিদাসীর প্রাণ কঁপিয়া উঠিল। কমলার শব্যাপার্শ্বে শ্যামমোহিনী উপবিষ্ট ছিলেন, তিনি ভগবতীকে দেখিয়া সরিয়া গেলেন। ভগবতী বলিল “ কেমন আছ কমলা ? ? কমলা একটমাত্র দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিল, কোন উত্তর দিল না, চক্ষে জল আসিল । ভগবতী দেখিলেন অবস্থ অতিশয় মন্দ–চিকিৎসা সম্বন্ধে পরামর্শ করিবার জন্য বহিৰ্ব্বাটীতে রামধনের নিকট গমন করিলেন। তখন হরিদাসী বলিল “ কেমন আছ সই ? ? কমলা । আর কেমন আছি, এখন গেলেই হয়।