পাতা:কমলেকামিনী দর্শন.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રજ শ্ৰীমস্তের মশান গীতাভিনয় সদাগর একটা বড় যজমান ছিল, মধ্যে মধ্যে শ্রাদ্ধ শান্তি পূজা টুজায় লাভ ও বেশী ছিল, কপাল ক্রমে সেও হাতছাড়া হোলে, শুনতে পাচ্ছি, বাণিজ্যে গিয়ে শালবান রাজার রাজ্যে কারাগারে বন্দী আছে। এসব বামুনে কপালে.করে, বড় মানুষ যজমান ছিল , সময়ে সময়ে কাছে গিয়ে দুটাকা চাইলেও পাওয়া যেত, কোন দায় দৈব জানালেও সাধ্যমত উপকার কোরত, এখন গেলেও কেউ একবার ডেকেও সুধায়না, সুধাবেই বা কে ! এখন সবই একরকম উঠে গিয়েছে, নৈমিত্তিক কাৰ্য্য শ্রাদ্ধ শান্তি যাগ যজ্ঞ ও দেব দেবীর প্রতিমা পূজার নাম গন্ধও নাই, শুধু এখানে কেন, আজ কাল প্রায় সৰ্ব্বত্রেই প্রাণ প্রতিম পূজার ভারি ঘুম,—সকলেই সেই পূজার জন্য ব্যস্ত, এখন আর মটর প্রতিমার আদর নাই, ঘরের প্রতিমার আদর বেশী—কি খাওয়াবেন কি পরাবেন, কিরূপ অলঙ্কার দিয়ে সাজাবেন, সেই ভাবনাই বড় ভাবনা, ঘরের প্রতিমাকে সদয় রাখার জন্য কেউ বা দশ উপচারে কেউ বা ভক্তি গঙ্গাজলে পূজা করে সন্তোষ কোচ্ছেন, যজমান মহাশয়দের এখন স্ত্রীই হর্তা কর্তা বিধাতা, স্ত্রীই দেবতা, স্ত্রীই ইষ্ট দেবতা, তিনি যা বোল বেন, তাই হবে, তিনি যা মত দেবেন, সেই মতই শিরোধাৰ্য্য, স্ত্রীসেবা যে ইহকাল পরকালের কার্য্য, এটা একেবারে ধ্রুব বিশ্বাস, হোয়ে দাড়িয়েছে, নৈলে পূর্ব পুরুষদের কীর্তিকলাপ তুলে দিয়ে স্ত্রীর বাধ্য হওয়ার কারণ কি ? যাই হউক, এখন আর যজমানিতে কিছুই নাই,—পেটের ভাত হওয়া কঠিন হেয়েছে। আমার ঘরে যিনি গিন্নি, তিনি তো এসব কিছুই বুঝবেন না, এ কথা যদি