পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিম সেখ । ଶତ , মুখ ফুটিয়া একটা কথাও বলিতে পারিত না। তবে সে সর্বদাই সতর্ক থাকিত। 8 এই সময়ে তাহারা শুনিল যে, এবার তাহদের দেশে যদিও ধান জন্মে নাই, কিন্তু সুন্দরবন অঞ্চলে যথেষ্ট ধান জন্মিয়াছে এবং তাঁহাদের দেশের অনেকে ধান কাটিতে যাইতেছে। বাদা অঞ্চলের কৃষকের স্বয়ং সমস্ত ধান কাটিয়া উঠিতে পারে না। সেই জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান হইতে বহুসংখ্যক শ্রমজীবি নীেকা করিয়া ঐ অঞ্চলে ধান কাটিতে যায়। তাহারা ধান কাটিয়া মজুরী স্বরূপ পয়সা পায় না, ধান পায়। করিম ও বসির পরামর্শ করিল যে, তাহারা দুইজনে ধান কাটিতে যাইবে । মাস খানেকের জন্য বাড়ীর ব্যবস্থা করিয়া সুন্দরবনে গেলে তাহারা যে ধান পাইবে তাহাতে অবশিষ্ট কয় মাস অনায়াসে চলিবে। এদিকে বসিরাদির অবস্থা দেখিয়া মহাজন রামমোহন পোদ্দার টাকার জন্য কড়া তাগাদা আরম্ভ করিল ; কিন্তু বসির টাকা পাইবে কোথায় ? উদরের অন্নেরই সংস্থান নাই, ঋণ শোধ করিবে কিরূপে। তখন পোদার মহাশয় নালিস করিয়া ডিক্ৰী পাইল। বসিরাদি যখন সুন্দরবনে যাইবার পরামর্শ করিতেছিল। সেই সময়ে একদিন তাহার জমি নীলাম হইয়া গেল। তাহাতেও মহাজনের ধার শোধ হইল না ! বসিরাদি বুঝিল, বুড়া মা ও স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য তাঁহাকে অতঃপর डिश्वकाठूखि अवव्गश्न कब्रििटङ श्शेरद । সুন্দরবনে যাওয়াই স্থির হইল। করিমের বাপ তাহাতে ।