পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te করিম সেখ যে প্রকার কুন্তীরের প্রাচুৰ্য, তাহাতে বসিরের দেহ জলে পড়বামাত্ৰই কুম্ভীরের উদরসাৎ হইবে, তাহার চিকুমাত্ৰও আর পৃথিবীতে থাকিবে না । এই সকল কথা ভাবিয়াই বোধ হয়। সে তাড়াতাড়ি বসিরের দেহ জলে ফেলিয়া দিয়াছিল এবং তখনই জোয়ারের টানে সে বাড়ীর দিকে নৌকা ছাড়িয়া দিয়াছিল। তাহার মনে অনুমাত্ৰও সন্দেহ হয় নাই যে, বসির বঁাচিয়া উঠিতে পারে। সত্যসত্যই যাহারা সুন্দরবন অঞ্চলের সংবাদ রাখেন, “তঁহারা বলিবেন যে, সে অঞ্চলের জলে পড়িলে লোকের বাচিবার সম্ভাবনা অতি কমই থাকে। কিন্তু কথায় বলে “রাখে কৃষ্ণ মারে কে, মারে কৃষ্ণ রাখে। কে ?” এখানেও তাঁহাই হইল। বসিরকে জলে ফেলিয়া দিয়া করিম নৌকা লইয়া চলিয়া গেল ; বসিরের মৃতদেহ জোয়ারের টানে করিমের নৌকার পশ্চাতেই ভাসিয়া চলিল। কিছু দূর যাইয়াই বসিরের দেহ একটা , গাছে আটুকাইয়া গেল। এই গাছটা বক্র হইয়া নদীর মধ্যে পড়িয়া ছিল। ভাটার সময় সেখানে অতি অল্প জলই থাকিত ; জোয়ারের সময় গাছের কিয়দংশ জলে ডুবিয়া যাইত। ভগবানের কি বিচিত্ৰ লীলা ! বসিরের দেহ সেই গাছে আটকাইয়া গেল। তাহার পর নদীর স্রোতে তাহার দেহটাকে ভাসাইয়া লইয়া যাইবার জন্য যত চেষ্টা করিতে লাগিল, দেহটী ততই গাছের ডালের সহিত আটকাইয়া যাইতে লাগিল ; স্রোতে আর তাহাকে টানিয়া লইয়া যাইতে পারিল না । ] r : - | বসির তখনও অচেতন অবস্থায় ছিল ; তাহার দেহটা গাছের সহিত এমনভাবে সংলগ্ন হইয়াছিল যে, নদীর শ্ৰোত তাহার মাথা