পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 করুণা স্বভাবতঃ রক্তাভ। তাঙ্গর অঙ্গে বহুমূল্য শ্বেত কোঁধে বস্ত্র, সৰ্ব্বাঙ্গ হীরকখচিত অলঙ্কার, বয়স অষ্টাদশ বর্ষের অধিক নহে। যুবকের দেহ সুগঠিত, তাহার বর্ণ উজ্জল গেীর, পরিধানে শুভ্র বঙ্গদেশায় বস্ত্র, কণে কুণ্ডল, হস্তে বলয় এবং মস্তকে সুবর্ণ ? কীরকখচিত উষ্ণীষ । স্বামী আসিয়া পাশ্বে বসিলে যুবতী সোহাগ করিয়া কহিলেন, "নোক আনিতে বল, চল ভ্রমণ করিয়া আসি।” যুবক উত্তর না দিয়া একটি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া চিন্তামগ্ন হইলেন । তাহ দেখিয়া পত্নী ক্ষুণ্ণমনে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি ভাবিতেছ, রাঢ়দেশের "রাজকাৰ্য্য ? তবে নৌবিহারে যাইবে না ?” যুবক পূৰ্ব্ববং মোনা হইয়া রছিলেন। যুবতা র্তাহার হস্তাকর্ষণ করিয়া কঠিলেন, “যদি এখানে ও রাজকার্য্যের চিন্তা করিবে তবে উষ্ঠান আসিলে কেন, গৌড়ে থাকিলেই ত ইষ্ট ত ?” যুবক বিযগ্নবদনে কহিলেন, “না করুণ, বড় দুঃসংবাদ আসিয়াছে।” “বঙ্গে প্রজাবিদ্রোহ, না বৌদ্ধবিপ্লব ?” “করু, বিদ্রুপ নহে । যদি সত্য হয় তাহা হইলে ইহা বড়ই দুঃসংবাদ ” “কি বল না ?” “মহারাজাধিরাজ বৃদ্ধবয়সে একটি বালিকার পাণিগ্রহণ করিয়াছেন।” “পুরুষের পক্ষে সে আর নূতন কথা কি ? কোনদিন তুমিও করিবে।” “ন করুণ, মহারাজাধিরাজ কেবল বিবাহ করেন নাই, তাহাকে নাকি পট্টমহাদেবী করিবেন, কুমার আমাকে পত্র লিখিয়াছেন।” “তবে কি মহাদেবীর মৃত্যু হইয়াছে?” “মৃত্যু হইলেই ভাল হইত। তাহার পরিবৰ্ত্তে এই বালিকা আৰ্য্যাবর্তের পট্টমহাদেবী হইবে।” “তাহীও কি কখন হয়। গুপ্তবংশে কখনও এমন হয় নাই ।” “অসম্ভব সম্ভব হইয়াছে করুণ, কুমার আমাকে স্মরণ করিয়াছেন, এখনই আমাকে পাটলিপুত্রে যাইতে হইবে। চল, নগরে ফিরিয়া যাই। আবার কতদিন পরে তোমার ফুল্পনলিনীর মত হাসিভরা মুখখানি দেখিব, করুণ ?” “নিত্যই।” “সে আবার কি ?” “কোন দুগ্ধবদন চক্ষুহীন তোমাকে