পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ፭ ? কোথায় ?” “তত না হয় বন্দী।” “পিতৃব্য, আপনি কোন পথে আসিলেন ?” “যে পথে তোমরা আসিয়াছ ” “সে কি ! আপনি কি প্রকারে সে পথ চিনিলেন ?” “বৎস, বৃদ্ধ দামোদর তোমার পিতার রাজাকালে পাটলিপুত্র নগরের বহু গুপ্তপথ চিনিয়াছিল |” “কেন পিতৃবা ?” “সমুদ্রগুপ্তের পৌত্র, চন্দ্রগুপ্তের পুত্র যখন বেগু-কন্যার পাণিগ্রহণে উদ্যত হইয়াছিল, তখন।” “পিতৃবা, পিতা কি তাহ জানিতেন?” “সমস্তই । ণে দিন ইন্দ্ৰলেখার পরিবর্তে ফন্তুযশ অসিহস্তে তোমার কণ্ঠলিঙ্গন করিতে আসিয়াছিল, সে নিওঁ বৃদ্ধ দামোদর তোমার পিতার আদেশে এই স্থ ভূজপথে বিচারে প্রবেশ করিয়া এই বিম্ববৃক্ষতলে অপেক্ষা করিতেছিল।” অশ্রুঅন্ধ নেত্রে প্রৌঢ় মঙ্গরাজ-পুত্র বৃদ্ধ মন্ত্রীর চরণতলে লুষ্ঠিত হইলেন। সেই সময়ে সেনানায়ুক আসিয়া মহামন্ত্রীকে অভিবাদন করিয়া কহিল, “দেব ! সমস্ত শেষ হইয়াছে।” “মহাবিহারস্বামী হরিবল ও ইন্দ্রলেখা ধৃত হইয়াছে ?” “স্থা।” “তাহাদিগকে কৃষ্ণগুপ্তের নিকট প্রেরণ কর।” “ভিক্ষুগণকে কি ছাড়িয়া দিব ?” “না, যাহারা অস্ত্ৰধারণ করিয়াছিল তাহাদিগকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া রাখ, আবগুক হইলে দণ্ডনারকের সম্মুখে উপস্থিত করিও।” এই সময়ে অশ্বারোহণে এক ব্যক্তি অতি দ্রুতবেগে কুকুটবিহারে প্রবেশ করিল এবং তোরণস্থিত সেনাগণকে জিজ্ঞাসা করিল, “মহামন্ত্রী কোথায় ?” তাহারা বিচারপাশ্বে দণ্ডায়মান দামোদর শৰ্ম্মাকে দেখাইয়া দিল। আগন্তুক অশ্বের গতি সংযত না করিয়া মহামন্ত্রীর সম্মুখে উপস্থিত হইল এবং কহিল, “দেব, এইমাত্র কুসংবাদ লইয়া জালন্ধর হইতে দূত আসিয়াছে। মহারাজাধিরাজ আপনাকে ও মহারাজ-পুত্র গোবিন্দগুপ্তকে স্মরণ করিয়াছেন । উত্তর না দিয়া কৃষ্ণবস্ত্রাবৃত মহামন্ত্রী দামোদর শম্মী ও জালবৰ্ম্মাবৃত মহারাজ-পুত্র গোবিন্দগুপ্ত অশ্বারোহণে সজঘারাম হইতে নির্গত হইলেন।