পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ >> ? হুই নাই ভানু! গৌড়ে গোপ-পল্লীতে রোহিণী গোপিনীকে একটি দুগ্ধবতী গাভী দিব বলিয়াছিলাম, তুমি দেশে ফিরিয়া তাছাকে একটি দুগ্ধবতী গাভী দিও। আমার কিঞ্চিৎ বিত্ত আছে তাহা তুমি লইও, না হয় দেবসেবার নিয়োগ করিও ” “তোমার হইল কি ?• রোহিণী গোপিনীর জন্য ত বিবাহ করিলে না, বিত্ত তাহাকেই দিয়া যাও না কেন ?” “ভানু, পরিহাস করিও না, দেশে যখন আর ফিরিব না তখন সকল বিষয়ের ব্যবস্থা করিয়া যাইব । রোহিণী আমার কেহ নহে। বিবাহ করি নাই তোমার দুর্দশ দেখিয়া, আর দাম্পত্য কলহের ভয়ে। রোহিণীর স্মনিষ্ঠা আছে, সে তাহার গাভার দুগ্ধ দেবতা ও ব্রাহ্মণের সেবায় নিয়োগ করে । , ক্ষীর, সর, নবনীত দেবতা দর্শন করেন,—আমি আহার করি, এ সম্পর্ক অতি মধুর।” "মধুর বলিয়াই ত বলিতেছি।” “রহস্য রাখ, এখন কোথায় যাইতে হইবে ?” “মহারাজাধিরাজের আদেশে আমি অদ্যই মহারাজপুত্র ও যুবরাজের সহিত পঞ্চনদের সীমান্তে যুদ্ধে যাত্রা করিব।” “অদ্য নহে, কল্য ।” “কলা কেন ? মহারাজ-পুত্র বলিয়াছেন অদ্যই যাত্রা করিতে হইবে।” কাপালিক বলিয়াছে আমরা কল্য মধ্যাহ্নে যাইব ।” "কাপালিক কে y” “তাহ জানি না।” “তাহাকে কোথায় দেখিলে ?” “শু্যামা-মন্দিরে । সে বলিয়াছে যে আমিও পঞ্চনদে যাইব, আর কখনও স্নিগ্ধশ্রামল গৌড়দেশে ফিরিব না।” “সে কোথায় গেল ?” “ষ্ঠামা-মন্দির হইতে কোথায় সে অন্তৰ্দ্ধান হইল, তাহা দেখিতে পাইলাম না। ভানু, কাপালিক বলিয়াছে যে, তুমি পত্নী লইয়া পঞ্চনদে গেলে বিপদ ঘটবে।” “ঞ্চযভ, বিপদ ঘটিয়াছে। করুণ পাগল, সে আমার সহিত পঞ্চনদে যাইতে চাহে।” “নিষেধ কর ভানু, নিষেধ কর। বিষম অনর্থ ঘটবে, স্ত্রী বুদ্ধি প্রলয়ঙ্করী।” এই সময়ে হাসিতে হাসিতে করুণা ও স্কন্দ গুপ্ত মহাদেবীর কক্ষ হইতে নির্গত হইলেন। ভানুমিত্র ও ঋষভদেবকে দেখিয়া যুবরাজ কহিলেন, “ভানু,