পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ రిరి সুতরাং এই নদী তীর্থ আর্যের পবিত্র ক্ষেত্র । আজি শুভদিনে নবজাত রবিরশ্মিপাত-পুত পবিত্র তীর্থক্ষেত্রে আমাদিগকে পরীক্ষা দিতে হইবে। যোদ্ধগণ ! এই পরীক্ষার অন্ত নাই, ফল নাই, জয় নাই, পরাজয় নাই। নিষ্কাম-চিত্তে পুরুষোত্তমের পাদপদ্মে সৰ্ব্বাঙ্গ সমর্পণ করিয়া, যে পিতৃভূমির জন্ত আত্মবলি দিতে চাহে, সে আমার সহিত অগ্রসর হউক । যাহার মাতা আছে, যাহার ভগিনী আছে, যাচার কন্ঠা আছে সে যেন এই পবিত্র ক্ষেত্রে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে । মাতৃস্তন্তে যাহার দেঙ্গ পরিপুষ্ট্র, অদ্য সে যেন পরায়ুখ হইয়া কলঙ্কার্জন না করে । এই নদীতীর্থ উত্তরাপথের তোরণ ; মগধবাসী সহস্রবর্ষ যাবৎ এই তোরণ রক্ষা করিয়াছে—আজিও করিবে । আমি স্বয়ং আর্য সমুদ্রগুপ্তের গরুড়ধ্বজ ধারণ করিয়াছি, বাহুলীকার তীর আমার চিতাশা। বন্ধুগণ পথ মুক্ত, জীবনে যাহার মমতা আছে, সে ধেন বাস্থলীক নগরে ফিরিয়া যায় ।” পঞ্চশত অশ্বারোহী নিশ্চল হইয়া দাড়াইয়া বুলি, বালকের মুক্তপথে একজন ও অগ্রrর হইল না । সহসা পঞ্চশত অসি কোষমুক্ত হইল, সশব্দে লৌহময় শিরস্ত্রাণ স্পর্শ করিল ; পঞ্চশত-কণ্ঠোথিত ভাষণ জয়ধ্বনি মহাপৰ্ব্বতশ্রেণী কম্পিত করিয়া তুলিল। দুরে পর্বতগাত্রে বকর হুণ সেই হুঙ্কারধ্বনি শ্রবণ করিয়া অশ্বের গতি সংযত করিল । বৃদ্ধ মহাবলাধিকৃতের শীর্ণ গণ্ডস্থল বহিয়া দুইটি মুক্তাবিন্দু পতিত হইল। বৃদ্ধ পুনরায় কহিলেন, “পুত্ৰগণ । সমুদ্রগুপ্তের নিকট যে শিক্ষা পাইয়াছি, পঞ্চাশদ্বর্ষ ধরিয়া মগধবাসীকে তাহা শিখাইয়াছি, দেখিলাম তাহা বিস্তৃত হও নাই। পৰ্ব্বতগাত্র বহিয়া অসংখ্য হ্ণ নদীতীর্থে আসিতেছে, যতক্ষণ শিরায় রক্ত প্রবাহিত হইবে,—যতক্ষণ বাহুসঞ্চালন-শক্তি থাকিবে, ততক্ষণ মগধবাসী উত্তরাপথের তোরণ রক্ষা করির্বে, কিন্তু পঞ্চশত পঞ্চলক্ষের গতিরোধ করিতে পারে না। পশ্চাতে বাহুলীক নগরী আছে, শত শত অসহায় নরনারী আছে, রমণী ও শিশু আছে, ব্রাহ্মণ ও শ্রমণ আছে, তাহাদিগকে