পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ JS সহিত শুiমামন্দির-প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিয়া মহাপ্রতীঙ্গরকে কহিল, “দেব, এই তিনজন সন্ন্যাসী একসঙ্গে পট্টমঙ্গদেবীর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেন।” কৃষ্ণ গুপ্ত বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এক সঙ্গে, কেন ?” একজন সন্ন্যাসী কহিল, “দেব, আমাদিগের ঝিশেষ প্রয়োজন আছে।” বুদ্ধ মহাপ্রতীক্ষার তাছার মুখের দিকে তীব্র দৃষ্টিপাত করিলেন। পট্টমহাদেবীর আদেশ ছিল, অন্ত যে কেহ তাহার দর্শন-প্রার্থনা করিবে, মহা প্রতীষ্ঠার তৎক্ষণাৎ তাহাকে শু্যামামন্দির-প্রাঙ্গণে লইয়া আসিবেন । •কৃষ্ণগুপ্ত কিসংক্ষণ চিন্তা করিয়া কঠিলেন, “আসুন ।” ·豪 পট্টমহাদেবী অরুণদেবীর সহিত শত শত অভিজাতকুলমহিলা পরিবৃত হইয়া স্ত্যামামন্দিরের অন্তরালে দাড়াইয়াছিলেন । কৃষ্ণগুপ্ত অন্তরালের নিরস্থিত সোপান হইতে তাঙ্গকে অভিবাদন করিলেন এবং কঠিলেন, “মহাদেবি, তিনজন সন্ন্যাস একত্র আপনার দর্শন-প্রার্থনা করেন ।” মহাদেবী বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “লইয়া আসিলে না কেন ?” বুদ্ধ মহা প্রতাহার লজ্জিত হইয়া প্রস্থান করিলেন। পরক্ষণে সন্ন্যাসত্রয় পাষাণনিৰ্ম্মি ত অন্তরালে প্রবেশ করিল। মহাদেবী ও অরুণাদেবী তাঙ্গাদিগকে প্রণাম করিলেন । সন্ন্যাসক্রিয়ের মধ্যে একজন বয়সে নবীন, সে কহিল, “মহাদেবি, আমরা সন্ন্যাসী, সংসার ত্যাগ করিয়াছি সুতরাং অন্ন বস্ত্র ধনরত্বের প্রয়োজন রাখি না । আমরা সৰ্ব্বদা গুপ্তকুলের মঙ্গলকামনায় হোম করিয়া থাকি । গণনায় জানিয়াছি যে, সম্প্রতি সমুদ্রগুপ্তের বংশের বিশেষ অশুভ সময় উপস্থিত। গৃহদোষ' নিবারণার্থ নুতন যজ্ঞ করিতে হুইবে, এই যজ্ঞের জন্ত আপনার মস্তকের একটি কেশ প্রয়োজন ।” মহাদেবী সহাস্তবদনে কঠিলেন, “দেব, স্বামী-পুত্রের মঙ্গলকামনার জন্য আর্য্যনার সানন্দে জীবন বিসৰ্জ্জুসদয় থাকে, একটি কেশত তুচ্ছ কথা।” মহাদেবী আলুলায়িত কেশরাশি হইতে একটি দীর্ঘ কেশ উৎপাটন করিয়া সন্ন্যাসীর হস্তে প্রদান করিলেন । সহসা তরুণ সন্ন্যাসীর নয়নে তীব্র