পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ᏹ8 % করুণা কৃত্রিম পৰ্ব্বতের পাদমূলে আসিয়া দাড়াইল, কৃষ্ণ গুপ্ত রথ হইতে অবতরণ করিয়া দ্রুইপদে শৈলসোপানশ্রেণী আরোহণ করিতে আরম্ভ করিলেন। সেই সময়ে একদল বৌদ্ধ নাগরিক ও নাগরিক কৃত্রিম শৈল হইতে অবতরণ করিতেছিল, তাহারা নগ্নপদ ও নগ্নশর্য মঙ্গা প্ৰতীহারকে দিবসের দ্বিতীয় প্রতরে ভিক্ষুপৰ্ব্বতে আরোহণ করিতে দেখিয়া বিস্মিত ও স্তস্তিত তইসু চাহিয়া রচিল । ভিক্ষুপৰ্ব্বতের উপরে পাষাণনির্মিত একটি সঙ্ঘারামের ধ্বংসাবশেষ মধ্যে এক উন্মাদিগ্নী ভিক্ষুণী বাস করিত। সঙ্ঘারাম ধ্বংস হলে ভিক্ষুগণ তাহা পরিত্যাগ করিপ্লাছিল এবং উহা বহুকাল জনশৃঙ্গ ছিল । অৰ্দ্ধশতাব্দী পূৰ্ব্বে উন্মাদিনী আসিয়া সত্তারামের একটি ক্ষুদ্র গৃষ্ঠকোণে আশয় গ্রহণ করিয়াছিল। পাটলিপুত্রের নাগরিকগণ, হিন্দু-বৌদ্ধনিবিবশেষে তাহাকে ভক্তি অপেক্ষা ভয় করিত । বৃদ্ধ করকোষ্ঠি গণিতে জনিত, কিন্তু সে অশুভ সংবাদই জনাইত। মঙ্গলের কথ! জিজ্ঞাসা করিলে বলিত, “জানি না ।” একাধিকবার জিজ্ঞাসা করিলে গালি দিত অথবা প্রহার করিত । কৃষ্ণ গুপ্ত যখন সঙ্ঘারামের ধ্বংসাবশেষমধ্যে প্রবেশ করিলেন, ভিক্ষুণী তখন একটি শিলাখণ্ডের উপর বসিয়া কতক গুলি শৃগালকে আহাঁর দিতেছিল। সে মহাপ্রতীহারকে দেখিয়া ককশকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, “আবার আসিয়াছিস্ ? তোকে ত বলিয়াছিলান যে তোর মত মুখের দ্বারা সমুদ্রগুপ্তের বংশের কোনও কল্যাণ হইবে না।” বৃদ্ধ মহাপ্ৰতীহার ভংসিত হইয়া অবনত বদনে কহিলেন, “দেবি, আপনার বাক্য যথার্থ, তিনজন সন্ন্যাসী আসিয়া মহাদেবীর একটি কেশ লইয়া গিয়াছে।” - “তুই মূৰ্খ, তুই নিৰ্ব্বোধ, তুই পুরুষ নহিস্ রমণী— তুই মানুষ নহিস বানর। সেই স্ত্রীলোকটি যখন নিজের সৰ্ব্বনাশের পথ প্রশস্ত করিয়া দিল, তখন তুই কি করিতেছিলি?” “দেবি, আমি বুঝিতে পারি নাই।