পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X 88 করুণা ধারায় সে কলঙ্ককালিম দূর করিবে। বেখার দৌহিত্র যেদিন আর্য্যপট্রে পদার্পণ করিবে, সেইদিন প্রকৃত পরমেশ্বর পরম ভট্টারক মহারাজাধি “বেঙ্গাকন্ত-বেঙ্গাদৌহিত্র । " আর্য্যপটে অনস্তার পুত্র ! দেবি, বুদ্ধ কৃষ্ণ গুপ্ত, সমুদ্র গুপ্তের সেনানী—সে কি ইহাই দেখিবার জন্ত জীবিত থাকিবে ?” “থাকিবে । গোবিন্দ গুপ্ত থাকিবে, দামোদর শম্মী থাকিবে, রামগুপ্ত থাকিবে । ইন্দ্ৰলেখার কন্য। যেদিন পট্টমহাদেবীর আসন গ্রহণ করিবে, সেইদিন মঙ্গরাজপুত্র মহাকুমার গোবিন্দ গুপ্ত, মহারাজপুত্র সবরাজ স্কন্দগুপ্ত, যুবরাজ ভট্টারকপাদীয় মহামন্ত্রী দামোদর শম্মী, যুবরাজ ভট্টারক পাদীয় মহাপ্রতীগর কৃষ্ণগুপ্ত, কুমারপাদীয় মহাদণ্ডনায়ক রামগুপ্ত, মঙ্গকুমার হর্ষগুপ্ত, কুমারপার্দীয় মহাবলাধিকৃত ভানুমিত্র তাহার সম্মুখে তজানু হইবে । সুবরাজ ভট্টারকপাদীয় মহাবলাধিকৃত অগ্নি গুপ্ত বাহুলীকের তোরণে চিরনিদ্রায় অভিভূত, শীঘ্র ফিরিয়া যা ।” বৃদ্ধ মহাপ্ৰতীহার স্তম্ভিত হইয়া পাষাণ-মূৰ্ত্তির ন্যায় দণ্ডায়মান রঙ্গিলেন। উন্মাদিনী তাহা দেখিয়া তাহার অঙ্গে লোষ্ট্র ক্ষেপণ করিল, তপন কৃষ্ণগুপ্ত ধীরে ধীরে রথের দিকে ফিরিলেন ।