পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ›®ፃ চন্দ্রসেন উদ্যানমধ্যে প্রবেশ করিল, কিন্তু অশোক-তুরুতলে কাপ|লিককে খুজিয়া পাইল না। তখন সে উদ্যানমধ্যস্থ অট্টালিকা হইতে কাদম্বপূর্ণ মৃৎকলস ও ভাণ্ড লইয়া আসিল এবং ইন্দ্রলেখাকে কহিল, “কাপালিককে খুজিয়া পাইলাম না।” ” “সে কোথায় গেল ?” “কি জানি ?” “এখনও যে তাঙ্গর কার্য্য বাকি আছে ! কাপালিকের মন্ত্রবল আছে, অনায়াসে কুমারগুপ্ত বশীভূত হইয়াছে, কলা মারণযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিতে হইবে।” “ভয় কি ? কাদম্বের লোভে প্রভাতেই আদিবে।” তথন কুমার গুপ্তের ভাবী শ্বশ্ৰ নিশীথরাত্ৰিতে মদ্যপান করিতে আরম্ভ করিল। নবম পরিচ্ছেদ । భీ:&#3:: €హిళగా বিদান্নে বসন্ত-পূর্ণিমার উজ্জ্বল জোৎস্নালোক-ধবলিত অলিন্দে অনিন্দ্যমুন্দরী চম্পকবরণী নবযুবতী কুমুমপেগব অস্কুল দিয়া বীণাবাদন করিতেছিল। পুরুষপুর নগরের সম্মুখে দিগন্তবিস্তৃত পৰ্ব্বতমালা শৃঙ্গে শৃঙ্গে হেমন্তের তুষারবরণ স্বচ্ছ মুকুরের স্তায় রজতধবল শুভ্ৰ-জোংমা প্রতিফলিত করিতেছিল। নগরপ্রান্তে শুভ্ৰ মৰ্ম্মর-নিৰ্ম্মিত বিশাল সৌধে দ্বিতীয় তলের মুক্তঅলিন্দে বীণা বাজিতেছিল—তরুহীন মরুবৎ অৰ্দ্ধবৃত্তাকৃতি পৰ্ব্বতমালায় তাহার প্রতিধ্বনি হইতেছিল। তরুণীর পাশ্বে বসিয়া স্নিগ্ধ ধবলকান্তি এক তরুণ পলকবিহীন-নেত্রে যুবতীর মুখের দিকে চাহিয়াছিল।