পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করুণা سرايا لا §§ তাঙ্গ থাকিবে না । তবে কি জান, পুত্র-কলত্র আছে, গুহ আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে, কি হইবে বুঝিতে পারিতেছি না।” “সমস্তই থাকিবে, হয় ত তুমিই থাকিবে না। বৃথা চিন্তায় ফল নাই । জনাদন, অদ্য আমার বিপণীতে তোমাদিগের সকলের নিমন্ত্রণ, আমার সহিত আছস ।” জনাদনের সঙ্গিগণ অক্ষয়নাগের পশ্চাৎ পশ্চাৎ তাহার বিপণীতে প্রবেশ করিল। বৃদ্ধ শোণ্ডিক পরিচারকগণকে বিপণীর সমস্ত আলোক জালির দিতে ক্লাদেশ করিল এবং গোঁড়া, মাধবী, মাধুক, কাদম্ব প্রভৃতি নানারূপ তীব্র সুরা আনয়ন করিল। বিপণীতে সুরার স্রোত প্রবাচিত হইল, দুশ্চিন্তা দূরীভূত হইল, অক্ষয়নাগের অতিথিগণ সকলে একসঙ্গে কথা কহিতে আরম্ভ করিল। তখন বৃদ্ধ শোণ্ডিক ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিল, “বন্ধুগণ, অদ্য আমার শুভদিন, শীঘ্রই ইন্দ্রলেখার কষ্ট পট্টমহাদেবী হইবে, সুতরাং চন্দ্রসেন হয় মহাপ্ৰতীহার, না হয় মহামন্ত্রী হইবে। চন্দ্রসেন এককালে এই বিপণীতে বিনামূল্যে বহু মদ্য পান করিয়াছে। ইন্দ্ৰলেখাকে সহস্রাধিক সুবর্ণ দীনার মূল্যের মদ্য ধারে বিক্রর করিয়াছি, সুতরাং কল্য আমার শুভদিন আরম্ভ হইবে । তোমরা সকলে আনন্দ কর, অদ্য সহস্ৰ কলস মদ্য বিনামূল্যে বিতরণ করিব।” অক্ষয়নাগের অতিথিগণ জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল, স্রোতের ন্যায় সুরা প্রবাহিত হইল, কোলাহলে আকৰ্ষিত হইয়া নাগরিকগণ দলে দলে অক্ষয়নাগের অতিথিসংখ্যা বৃদ্ধি করিতে আসিল। রজনীর দ্বিতীয় প্রহর অতিবাহিত হইল, তখন অক্ষয় নাগ কহিল, “বন্ধুগণ, এইবার বিপণীর দ্বার রুদ্ধ করিতে হইবে, নতুবা প্রতীহার আসিয়া আমাদিগকে বৃদ্ধ রামগুপ্তের নিকট লইয়া যাইবে।” বৃদ্ধের অতিথিগণ সকলেই মত্ত হইয়াছিল, তাহারা সমস্বরে কহিল, “বিপণীর দ্বার রুদ্ধ হইতে পারে না, যদি প্রতীহার আসে তাহাকে প্রহার করিব। বৃদ্ধ রামগুপ্ত যদি আমাদের বিরুদ্ধে হস্তোত্তোলন করে, তাহ