পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ° o করুণা কতক রথে, অবশিষ্ট পদব্রজে, সমুদ্র গুপ্ত ও চন্দ্রগুপ্তের প্রাসাদে রজনীর চতুর্গ প্রক্টর যাপন করিতে চলিল। পাটলিপুত্র নগরে অনন্তার পুনঃ প্রবেশের পর দিনযামিনী অতিবাচিত হইয়াছে, তপন ও পট্টমহাদেবীর দেহ সংকৃত হয় নাই । পাটলিপুত্র নগর, প্রাসাদ ও অন্তঃপুর জনশূন্ত । অনন্তার আবির্ভাবে ও পট্টম চাদেবীর আত্মহ তায় শঙ্কিত ও বিস্মিত হইয়া রাজসেবকগণ পলায়ন করিয়াছিল। যাঙ্গর পূর্বে ইন্দ্রলেপার বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিল, তাহার অনন্তার আগমন সংবাদ শ্রবণ করিয়াই নগর পরিত্যাগ করিয়াছিল । মহাদেবীর জীবনাবসান শ্রবণ করিয়া বুদ্ধ মহাদগুনায়ক রাম গুপ্ত স্তম্ভিত হইয়াছিলেন । তিনি পরদিন প্রভাতে প্রাসাদে আসিয়া সন্ধ্যা পূৰ্য্যন্ত অপেক্ষা করিয়া ও সমাটের দর্শন পাইলেন না । সন্ধ্যা হইতে চেষ্টা করিয়া নিশীথ রাত্রিতে বৃদ্ধ, পটুমহাদেবীর সংকারের আয়োজন করিলেন । প্রাসাদের গঙ্গাদার রুদ্ধ, যে দগুধর তাহা মুক্ত করিত সে কীলক লইয়৷ পলায়ন করিয়াছে, সুতরাং অন্তঃপুর হইতে চত্বরত্রয় পার হইয়া রাজপথে গঙ্গাতীরে গমন ব্যতীত উপায়ান্তর ছিল না । রাম গুপ্ত ও তাহার সঙ্গিগণ মহাদেবীর শব বহন করিয়া প্রাসাদের তৃতীয় তোরণ হইতে নিৰ্গত হইতেছেন, এমন সময়ে তোরণের অনতিদূরে শত শত উল্কার উজ্জ্বল আলোক দৃষ্ট হইল, শীবাহিগণ বিস্মিত ও ভীত হইয়া দাড়াইল। আলোক দ্রুতবেগে তোরণের নিকটবর্তী হইল, চন্দ্ৰসেন ও তাতার সঙ্গিগণ বিকট কোলাহল করিতে করিতে পাটলিপুত্রের প্রাসাদ-তোরণের সম্মুখবন্ত হইল । তাহাদিগকে দেখিয়া শববাহিগণ শব পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিল। বৃদ্ধ রামগুপ্ত একাকী অন্ধকারময় তোরণপথে পটুমহাদেবীর শবের শিয়রে দণ্ডায়মান রহিলেন । 擎日 উল্কাধারী অশ্বারোহিগণ ক্রমশঃ তোরণে আসিয়া উপস্থিত হইল । রামগুপ্ত তখনও তোরণের মধ্যস্থলে দাড়াইয়াছিলেন। একজন অশ্বারোহী