পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ مه-سیستم حماس-اس সনভাস্থলেন পরদিন প্রভাতে পাটলিপুত্রের নাগরিক অরুণোদয়ে গৃহদ্বার মুক্ত করিল না, বণিক বিপণীতে দ্রব্যসম্ভার সাজাইয়া বসিল না, নিশিশেষে মন্দিরে মন্দিরে, বিহারে বিহারে আরত্রিকের শঙ্খ-ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল না সারা, রাত্রি জনশূন্ত রাজপথে মৰ্ম্মপীড়াব্যাকুল মাগধসেনা পট্টমহাদেবী ও স্কন্দগুপ্তের জয়ধ্বনি করিয়া বেড়াইল এবং রাত্রিশেষে চিতাগ্নি নিৰ্ব্বাপিত করিয়া চিতাভস্ম সৰ্ব্বাঙ্গে লেপন করিয়া তৃতীয় তোরণে বসিয়া রক্তিল । সে দিন তোরণে তোরণে প্রথম প্রচরের মঙ্গলবাদ্য বাজিয়া থামিয়া গেল তথাপি সভামণ্ডপ জনশূন্ত রঙ্গি মণ্ডপে রাজা নাই, প্রজা নাই, সভাসদৃ নাই, বিচারার্থী নাই। বিস্তুত শূন্য সভামণ্ডপে দেবারিক ও দণ্ডধরগণ বিঘ্নিত হইয়া দাড়াইয়াছিল। মণ্ডপ নিৰ্ম্মিত হইবার পর পাটলিপুত্রে কেহ গুপ্ত-সাম্রাজ্যের ধৰ্ম্মাধিকরণ এমন জনশূন্য দেখে নাই । দেখিতে দেখিতে দ্বিতীয় প্রস্তর অতীত ই হল, আবার মঙ্গলবাদ্য বাজিয়া উঠিল, এই সময়ে দ্বিরদরদ খচিত শিবিকায় প্রবীণ মহারাজাধিরাজ ও নবীন পট্টমহাদেবী মণ্ডপের দ্বারে উপস্থিত হইলেন। বৃদ্ধ কুমার গুপ্ত চিরাগত-প্রথার ব্যতিক্রম দেখিয়া বিস্মিত হইলেন, কারণ, অদ্য সাম্রাজ্যের মহাপ্ৰতীহার, সমাঢ় ও পট্টমহাদেবীর অভ্যর্থনার জন্য মুক্তকোষ অসিহস্তে মণ্ডপের দ্বারে অপেক্ষা করিতেছিলেন না । দীর্ঘকাল একই সময়ে, একই স্থানে,একই ব্যক্তির অভিবাদন বৃদ্ধ সম্রাটের অভ্যস্ত হুইয়া গিয়াছিল, অদ্য মণ্ডপদ্ধারে মহাপ্ৰতীহারের চিরপরিচিত মূৰ্ত্তি না দেখিয়া সম্রাট জিজ্ঞাসা