পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y Ꮔ & করুণা এই সময়ে সভামগুপের তোরণে দাড়াইয়া জনৈক গৈরিক বসনপরিহিত বৃদ্ধ বলিয়া উঠিল, “মহারাজাধিরাজ, বৃদ্ধ রাম গুপ্ত বিদ্রোষ্ট্ৰী নহে, কৃষ্ণ গুপ্ত চিরানুগত সেবক, তাহারা স্বেচ্ছায় পরমেশ্বর পরমভট্টারক পরমবৈষ্ণব মঙ্গরাজাধিরাজের ধৰ্ম্মাধিকরণে উপস্থিত হইয়াছে।” বুদ্ধ মহাদগুনায়ক ও বম্মাবৃত মহাপ্ৰতীহার সিংহাসনের সম্মুখে দাড়াইয়া অভিবাদন করিলেন, বৃদ্ধ সম্রাটের মস্তক অবনত হইল । রাম গুপ্ত কহিলেন, “মহারাজাধিরাজ, স্বর্গগত চন্দ্রগুপ্ত আমাকে মহামুদ্রা প্রদান করিয়া সাম্রাজ্যের প্রধান দ গুনায়ক নিযুক্ত করিয়াছিলেন, বহুদিন রাজসেবা করিয়াছি, যে ভাবে এত দিন চলিয়াছি সে ভাবে আর চলিতে পারিব না। কুমার গুপ্ত তুমি রাজা, আমি প্রজ, কিন্তু আমি তোমার পিতৃব্য, চন্দ্র গুপ্ত আমার প্রপিতামহ । যে দিন মহাদেবী ধ্রুবস্বামিনী স্বর্গ রাহণ করিয়াছিলেন, সে দিন তোমাকে ও গোবিন্দকে লইয়া আমি গঙ্গাদ্বার-পুথে তাহার গঙ্গাযাত্রার ব্যবস্থা করিয়াছিলাম । আর সে দিন নাই, চন্দ্র গুপ্তের বধূ, কুমারগুপ্তের পত্নী, স্কন্দ গুপ্তের মাতা দেহত্যাগ করিলে বিশাল পাটলিপুত্র নগরে এমন কেহ ছিল না যে, তাহার শব বহন করে । বহু চেষ্টায় বাহক সংগ্ৰছ করিয়া চিরপ্রথানুসারে আমি তাহার শব লইয়া যাত্রা করিয়াছিলাম । গঙ্গাদ্বার রুদ্ধ ছিল বলিয়৷ তোরণপথে গঙ্গাতীরে যাইতেছিলাম, পাটলিপুত্র নগরে চন্দ্র গুপ্ত ও সমুদ্র গুপ্তের প্রাসাদতোরণে কুলটার জার, মদ্যপ, সামান্ত ব্রাহ্মণ বলিয়াছিল, বৃদ্ধার শব পরিখার জলে নিক্ষেপ কর । পুত্র, রাম গুপ্ত বুদ্ধ, দণ্ডধারণ তাহার পক্ষে অসম্ভব, তোমার মুদ্রা তুমি গ্রহণ কর আমি বারাণসী যাত্রা করিলাম ।” বৃদ্ধ, সম্রাটের পাদমূলে মহামুদ্র রক্ষা করিয়া পুনরায় অভিবাদন করিলেন। তখন কৃষ্ণ গুপ্ত আর্যাপট্রের সন্মুখে দাড়াইয়া কোষমুক্ত অসি শিরস্ত্রাণে স্পর্শ করাইয়া অভিবাদন করিয়া কহিলেন, “মহারাজা