পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>br8 করুণ। গান্ধার ও উদ্যানলুণ্ঠন মানসে কুণসেনা দ্বিতীয়বার বক্ষু অতিক্রম করিয়াছিল। কিন্তু প্রতি গিরিসঙ্কটে, প্রতি উপতাকায়, প্রতি গিরিনদীতীর্থে, বার্থমনোরথ হইয়া কুণজাতি বুঝিয়াছিল যে মাগধসেনা মগধে প্রত্যাবৰ্ত্তন করে নাই । t ধীরে ধীরে অপূৰ্ব্ব কৌশলে গোবিন্দ গুপ্ত চারিদিক হইতে তৃণসেনা বেষ্টন করিতেছিলেন, তিনি ভরসা করিয়াছিলেন যে, আর এক পক্ষ কাল অতিবাহিত হইলে হণসেনা আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হইবে। পট্টনঙ্গদেবীর মৃত্যুর ঔহ মাস পরে একদিন সন্ধ্যাকালে মঙ্গরাজপুত্র গোবিন্দ গুপ্ত শকনরপতিগণ-পরিবৃত হইয়া শিবিরের সম্মুখে বালীকার আর্দ্র সৈকতে উপবিষ্ট ছিলেন । হণসেনা পরাজিত প্রায় দেখিয়া কাপুরুষ শক রাজগণ অসঙ্কোচে মহারাজপুত্রের শিবিরে আগমন করিয়াছিল। যুদ্ধের প্রারস্তে ইহার নির্লজের স্যায় রাজ্য ও রাজধানী পরিত্যাগ করিয়া আত্মরক্ষার্থ পৰ্ব্বতশিখরে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল । তখন গোবিন্দ গুপ্ত বলিয়াছিলেন, সাম্রাজ্যের সেনা জয়লাভ করিলে ইহার লুণ্ঠনলব্ধ অর্থ যাদ্ধা করিতে পুনরায় ফিরিয়া আসিবে। সেইদিন প্রভাতে স্কন্দ গুপ্ত, ভানুমিত্র, চক্রপালিত, বন্ধুবৰ্ম্ম ও ইন্দ্রপালিত দূরবর্তী পাৰ্ব্বতা-উপত্যকায় হণসেনার পশ্চাদমুসরণ করিয়াছিলেন। গোবিন্দগুপ্ত সন্ধ্যাগমে অন্ধকার নদীতীরে তাহাদিগের প্রতীক্ষায় ভীরু শকরাজগণের সহিত কথালাপে মগ্ন ছিলেন। দূরে শিবিরে সহস্ৰ সহস্ৰ অগ্নিকুণ্ড প্রজালিত হইয়াছিল, ক্লান্ত পথশ্ৰান্ত মাগধসেনা রন্ধনের উদ্যোগ করিতেছিল । সহসা অন্ধকারাচ্ছন্ন নদীতীরে অশ্বপদশব্দ শ্রুত হইল, পরক্ষণে জনৈক দণ্ডধর মহারাজপুত্রকে অভিবাদন করিয়া কহিল, “ভট্টারক, মগধ হইতে একজন অশ্বারোহী আসিয়াছে, সে আত্মপরিচয় দিতে চাহে না, কেবল বলিতেছে সে মন্দমলয়ানিল চাহে ।” চমকিত হইয়া মহারাজপুত্ৰ কহিলেন, “তাহাকে সত্বর লইয়া আইস।” দণ্ডধর