পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ >brQ অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিল, মহারাজপুত্র শকরাজগণকে বিদায় দিয়া একাকী নদীতীরে উৎসুকচিত্তে আগন্তকের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । ক্ষণকাল পরে দণ্ডধর আগন্তুককে লইয়া নদীতীরে আসিল । নবাগত ব্যক্তি মহারাজপুত্রকে অভিবাদন করিয়া তাহার হস্তে একটি অঙ্গুরীয়ক প্রদান করিল, অন্ধকারে অঙ্গুরীয়কের বর্ণ দেখিয়া গোবিন্দগুপ্ত শিহরিয়া উঠিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে ?” আগন্তক কহিল, “আমি পাটলিপুত্র নগরের প্রতীহার।” 德 “কেন আসিয়াছ ?” , or “আপনাকে অঙ্গুরীয়ক প্রদান করিতে।” “কাগর , আদেশে আসিয়াছ?” “মহানায়ক মহাপ্ৰতীহার কৃষ্ণগুপ্তদেবের ” “অঙ্গুরীয়ক আর কাহাকেও দেখাইয়াছ ?” “মহাপ্রতাহারের আদেশে দ্বিতীয় অঙ্গুরীয়ক পট্টমহাদেবীকে প্রদান করিয়াছিলাম, এবং তৃতীয় অঙ্গুরীয়ক পুরুষপুরে মহামন্ত্রী দামোদরদেবকে দিয়াছি।” “অবশিষ্ট অঙ্গুরীয়ক কি করিয়াছ ?” “মহাপ্ৰতীহারের আদেশে জাঙ্গবীজলে নিক্ষেপ করিয়াছি ।” - আগন্তুকের কথা শুনিয়া মহারাজপুত্রের সব্বাঙ্গ কম্পিত হইল, তিনি বার বার শিহরিয়া উঠিলেন এবং অশ্রুদ্ধ কণ্ঠে কহিলেন, “দেবি, তবে আত্মবলি দিয়াছ ? দূত, অঙ্গুরীয়ক কি বর্ণ তাহা দেখিয়াছ ?” “দেব, মহাপ্রতীহার আদেশ করিয়াছিলেন .ை অঙ্গুরীয়ক দশন করিবে না।” বিকৃতকণ্ঠে গোবিন্দগুপ্ত ডাকিলেন, “কে আছ ? শাস্ত্র উল্কা আন ।” সে কণ্ঠস্বর শুনিয়া শত শত যুদ্ধের বীরগণ কম্পিত হইল, ক্ষিপ্রপদে উল্কাধারিণণ নদীসৈকতে আসিল । কম্পিত হস্তে মহারাজপুত্র গোবিন্দগুপ্ত অঙ্গুরীয়কমণি নিরীক্ষণ করিলেন । তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ অবশ হইল, অঙ্গুরীয়ক হস্তচু্যত হইল, সহস্ৰ সহস্ৰ যুদ্ধজয়ী কঠোর শকমণ্ডলের একমাত্র