পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ >bra میه হউক, তথাপি জীবন থাকিতে—বাহুতে শক্তি থাকিতে—তোরণপথ পরিত্যাগ করিও ন! ” & সহসা বহু আল্লাসরুদ্ধ অশ্রুরাশি বৃদ্ধের দৃষ্টিশক্তি রোধ করিল, অন্ধের ন্যায় অনুভবে অগ্রসর হইয়া প্রৌঢ় মহারাজপুত্র স্বন্দগুপ্তকে দৃঢ় আলিঙ্গনপাশে আবদ্ধ করিলেন । আবেগরুদ্ধকণ্ঠে পিতৃব্য ভ্রাতুপুত্রকে কঙ্গিলেন, “পুত্র, আর একটি অনুরোধ, মগধে ফিরি ও না । কাহারও আদেশে অথবা অনুরোধে মগধের সীমান্তে পদার্পণ করি ও না । আমাকে স্পর্শ করিয়া শপথ কর।” যুবরাজ মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় কহিলেন, “শ পথ কেন তাত ? আপনার আদেশ কি যথেষ্ট নহে ?” “স্কন্দ, আমি অনুরোধ, করিতেছি আমাকে স্পর্শ করিয়া শপথ কর।” “শপথ করিতেছি,—আপনার আদেশ ব্যতাত, পিতা আদেশ করিলে ও মগধের সামান্তে পদার্পণ করিব না ।” তখন সুবরাজকে আলিঙ্গনমুক্ত করিয়া গোবিন গুপ্ত আসি কোষমুক্ত করিলেন এবং গম্ভীরস্বরে ভানুমিত্র প্রমুখ সুবরাজুের সঙ্গিগণকে কহিলেন, “পুত্ৰগণ, আমার অনুরোধে তোমাদিগকে একটি শপথ করিতে হইবে, অসি মুক্ত কর।” ভানুমিত্র, হর্ষ গুপ্ত, বন্ধুবন্মা, চক্রপালিত, দেবধর ও ইন্দ্রপালিত দক্ষিণহস্তে মুক্ত আসি গ্রহণ করিলেন । গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “পুত্ৰগণ, শপথ কর—যতক্ষণ বাহুতে শক্তি থাকিবে ততক্ষণ আর্য্যাবৰ্ত্তের একমাত্র ভরসাস্থল স্কন গুপ্তকে রক্ষা করিবে। যতক্ষণ চেতনা থাকিবে ততক্ষণ তাঙ্গর পাশ্ব পরিত্যাগ করিবে না, ধমনীতে শোণিতবিন্দু অবশিষ্ট থাকিতে আর্য্যাবৰ্ত্তের তোরণ পরিত্যাগ করিবে না ।” কোষমুক্ত অসিসমূহ সশব্দে শিরস্ত্রাণ স্পর্শ করিল, প্রত্যভিবাদনে মহারাজপুত্রের অসি শিরস্ত্রাণ চুম্বন করিল। তিনি কম্পিত কণ্ঠে কহিলেন, “পুত্ৰগণ, তোমাদিগের নিকট বিদায় প্রার্থনা করিতেছি। অদ্য পাটলিপুত্রে চলিয়াছি, যদি উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় তবেই ফিরিব, নতুবা নহে। আৰ্য্যাবর্তের