পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# প্রথম পরিচ্ছেদ ృస్సి 8 ༠༥་ প্রতিমার স্তায় দণ্ডায়মান রছিলেন। সুদীর্ঘ পত্র পাঠ করিতে করিতে স্কন্দগুপ্তের মুখ সহসা পাণ্ডুবৰ্ণ হইল, পরক্ষণে ক্রোধে তাঙ্গ রক্তবর্ণ হইয় উঠিল। তাঙ্গর সঙ্গিগণ উদগ্রীব হইয় তাহার মুখমণ্ডলের বর্ণ-পরিবর্তন লক্ষ্য করিতেছিলেন। পত্র-পাঠ শেষ হইল, যুবরাজ পত্র উষ্ণৗষ স্পশ করাইয়। তাই ভালুমিত্রের হস্তে প্রদান করিলেন এবং দণ্ডধরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে আমার তরবারি গ্রহণ করিবে ?” দণ্ডধর বিস্মিত হইয়া যুবরাজের পাদমূলে পতিত হইল এবং কহিল, “দেব, আমি অতি ক্ষুদ্র, আমি দাস ।” 荔 পত্র পাঠ করিতে করিতে ভালুমিত্রের চক্ষুদ্ধর জবার ন্যায় রক্তবর্ণ হইয়া, উঠিল, শ্বাসরোধের উপক্রম হইল, কপালের শিরাদ্বয় স্ফীত হইল । আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে যুবরাজের বাল্যসহচর গৌড়ীয় মহাবলাধিকৃত বলিয়া উঠিলেন, “যুবরাজ ভট্টারক পদচ্যুত বন্দী মহারাজাধিরাজের শ্বশুর—চন্দ্রসেন——হণযুদ্ধে মহাসেনাপতি— — যুবরাজ স্কন্দ পত্র মিথ্যা—মহামুদ্রা কৃত্রিম—” মাগধ সেনানিগণ ভানুমিত্রের নিকটে আসিয়া একাগ্রমনে পত্র পাঠ করিতে লাগিলেন, তাহাদিগের মুখমণ্ডলও রোধদীপ্ত হইয়া উঠিল। কোষমুক্ত অসিসমূহ সশব্দে ঝঙ্কার করিয়া উঠিল, তাহা দেখিয়া যুবরাজ কহিলেন, “বন্ধুগণ শান্ত হও, মহামুদ্রা কৃত্রিম নহে, মগধে পরিবর্তন হইয়াছে। মঙ্গরাজাধিরাজ ইন্দ্ৰলেখার কষ্ঠার পুণিগ্রহণ করিয়াছেন, সুতরাং পরমবৈষ্ণবা পরম ভট্টারিক পটুমহাদেবী স্বৰ্গারোহণ করিয়াছেন । মহারাজাধিরাজের আদেশে আমি বন্দী, তোমরা একজন আমার তরবারি গ্রহণ কর । আমি মাতৃহীন, বাহুলাকায় স্নান করিয়া প্রেতপিও অর্পণ করিব” । g» * যুবরাজ কটিবন্ধ ও অসি হস্তে গ্রহণ করিলেন, কিন্তু কেহই তাহা গ্রহণ করিতে অগ্রসর হইল না ; তখন যুবরাজ বজ্ৰগম্ভীর স্বরে কহিলেন,