পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ a रे করুণা সম্রাটের মনুস্থতার জন্য দিনে একদণ্ড মাত্র সভার অধিবেশন হইয় থাকে। দিবসের বয়স বাড়িতে লাগিল, বুদ্ধের বিস্ময় বদ্ধিত হইতেছিল, তথাপি কেচ সভামগুপে প্রবেশ করিতেছিল না। বৃদ্ধ উপায়ান্তর না দেখিয়া বার বার বীণা বাদন করিতেছিলেন । দুশ্চি স্তী সময়ে সময়ে তাঙ্গকে অন্যমনস্ক করিতেছিল ; বৃদ্ধ দামোদর শর্মা দেখিতেছিলেন, যত্নাভাবে আর্সাপট্রের মসৃণ মৰ্ম্মর মলিন হইয়া গিয়াছে, প্রাচীরে পারাবভকুল কুলায় নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে ; আর্যাপট্রের চন্দ্ৰাতপ দীর্ঘকাল পরিষ্কৃত হয় নাই, তাহার শিশির-শুভ্র মুক্তা গুচ্ছ মসামলিন হইয়াছে । মণ্ডপের ক্ষেত্রে চন্দনকাষ্ঠনিৰ্ম্মিত স্থাসন গুলি যত্নাভাবে বিনষ্ট হইতেছে, অলিন্দে অভিজাতসম্প্রদায়ের দ্বিরদরদখচিত বিচিত্র আসন গুলি বিকলাঙ্গ হইয়াছে। দেখিতে দেখিতে বৃদ্ধ সুদীৰ্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “মা, তুমি বিচলিত হইয়াছিলে বুঝিয়ছিলাম, কিন্তু তুমি যে পরিত্যাগ করিয়াছ, তাহা বুঝিতে পারি নাই ।” 象 প্রাসাদের ও নগরের তোরণে তোরণে দ্বিতীয় প্রস্তরের মঙ্গলবাদ্য বাজিয়া উঠিল, সভামণ্ডপে দুই একজন সভাসদ আসিতে আরম্ভ করিল। তাঙ্গর বীণাহস্তে সপ্ততিবর্ষবয়স্ক বুদ্ধকে আর্সাপটের পাশ্বে উপবিষ্ট দেখিয়া বিস্মিত হইয়া গেল । তাইশরা বৃদ্ধকে চিনিত না, বৃদ্ধ ও তাহাদিগকে চিনিতেন না। অৰ্দ্ধদও পরে সুবর্ণখচিত শিবিকায় এক গৌরবর্ণ কৃশকায় যুবক মণ্ডপে আসিল, অন্ত সভাসদগণ তাহাকে দেখিয়া গাত্রোথান করিল, বৃদ্ধ সবিস্ময়ে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। স্বরারক্তনেত্র যুবক মণ্ডপে প্রবেশ করিয়া দেখিল যে, তাহার আসনে একটি বীণা রহিয়াছে। সে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া চীৎকার করিয়া উঠিল, সভয়ে দণ্ডধর ও দেীবারিকগণ ছুটিয়া আসিল। যুবক জিজ্ঞাসা করিল, “এটা আনিয়াছিস কেন ?” দণ্ডধর ও দেীবারিকগণ কহিল, “প্রভু, আমরা ত আনি নাই!” "তবে কে আনিল ?” “আমরা বলিতে পারি না প্রভু!”