পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ఫి రిన করিলেন, “স্কন্দ গুপ্ত কোথায়?” সাম্রাজ্যে যুবরাজভট্টারকের নাম উচ্চারণ করিতে শুনিয়া প্রহরী বিস্মিত হইল, সে জিজ্ঞাসা করিল “আপনি কি যুবরাজভট্টারকের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন ? যুবরাজ স্বীয় বস্ত্রাবাসে আছেন।” “বস্ত্রাবাসে । সে কারাগারে নাই ?” প্রহরা আগন্তুককে উন্মত্ত মনে করিয়া হাসিয়া উঠিল, এবং কহিল “বাপু হে, তুমি কোথা হইতে আদিতেছ? তোমার কথা শুনিয়া তোমাকে মগধবাসী মনে হইতেছে, কিন্তু তুমি ত মানুষের মর্যাদা বুঝিয়া কথা’কহিতে শিখ নাই ? যুবরাজ ভট্টারক মহারাজপুত্রের অভাবে সাম্রাজ্যের সেনার মহাবলাধিকৃত, তিনি কারাগারে যাইবেন কেন ?” , “তবে কি পাটলিপুত্র হইতে দূত আসে নাই ?” “একমাস পূৰ্ব্বে একজন আসিয়াছিল বটে, কিন্তু তাঙ্গতে যুবরাজ কারাগারে যাইবেন কেন ?” “সমাটের আদেশে ” “সম্রাটের আদেশ ?” “আমি তোমার সহিত বাকযুদ্ধ করিবার জন্ত বাহুলীকে আসি নাই , স্কন্দ গুপ্ত কোথায় ? আমাকে তাহার নিকট লইয়া চল ।” দুইবার যুবরাজের নাম উচ্চারণ করিতে শুনিয়া প্রহরীর ধৈর্যাচুতি হইল, সে কহিল, “বাপু হে, তুমি কি ভদ্রাচার জান না ? দুইবার যুবরাজের নাম উচ্চারণ করিয়াছ, তৃতীয়বার করিলে উত্তম-মধ্যম প্রতার খাইবে।” নুতন সোনপতি রুষ্ট হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি কে তাঙ্গ জান ?” দৈনিক কহিল, “না, কিন্তু তুমি যে-ই হও, তৃতীয়বার যদি কুমারের নাম গ্রহণ কর, তাহা হইলে লগুড়াঘাতে তোমার অস্থিগুলি চূৰ্ণ করিব।” “তুমি কাহার সহিত কথা কহিতেছ তাহা জান না বলিয়া তোমাকে ক্ষমা করিলাম। আমি হুণযুদ্ধের নূতন মহাবলাধিকৃত ” সৈনিক উচ্চতাস্ত করিয়া উঠিল এবং, কহিল, “কাল রাত্রিতে কি সুরার মাত্র চড়াইয়াছিলে ? অগ্নি গুপ্ত স্বর্গারোহণ করিয়াছেন বটে, মহারাজপুত্র পাটলিপুত্রে গিয়াছেন, কিন্তু যুবরাজভট্টারক রহিয়াছেন, তাহার সহিত $ 8