পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ> R করুণা তখন স্কুন্দ গুপ্ত সাম্রাজ্যের নায়কগণ পরিবৃত হইয় বিষণ্ণবদনে চিন্তা করিতেছিলেন । গোত্মিক বস্ত্রাবাসে প্রবেশ করিয়া অভিবাদন করিল, এবং কঠিল, “দেব, নূতন মহাসেনাপতি আসিয়াছেন। যুবরাজ মস্তকোত্তোলন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে, চন্দ্রসেন ?” উত্তর হইল, “হঁ৷ ” “র্তাহাকে লইয়া আইস ।” পরক্ষণে চন্দ্রসেন গোল্মিকের সহিত বস্ত্রাবাসে প্রবেশ করিলেন, তাহাকে দেখিয়া সকলে আসন ত্যাগ করিলেন, চন্দ্রসেন প্রবেশ করিয়াই জিজ্ঞাসা করিলেন, “স্কন্দ গুপ্ত কে ? যুবরাজ অগ্রসর হইয়া কছিলেন, “আমি ” “তুমি কারাগারে যাও নাই কেন ?” “আদেশ পাই নাই বলিয়৷ ” “তুমি পদচ্যুত।” “তাহ শুনিয়াছি।” “তুমি বুনী।” “উত্তম, কোথায় যাইব ?” “সম্প্রতি কারাগারে । কে আছ, ইঙ্গকে শৃঙ্খলাবদ্ধ কর।” চন্দ্রসেনের আজ্ঞা শুনিয়া ভানুমিত্র বলিয়া উঠিলেন, “মহাবলাধিকৃত, মগধ হইতে কি নুতন সেনা আনিয়াছেন ?” চন্দ্রসেন বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কেন ?” “এখানে যাহারা আছে, তাহারা কেহ যুবরাজের অঙ্গে হস্তক্ষেপ করিবে না।” “কেন?” “তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেই পারেন !” “সম্রাটের আদেশেও নহে? “সম্রাট স্বয়ং উপস্থিত থাকিলেও নহে ” “ইহা যে বিদ্রোঙ্গ ’ “ইন্স যদি বিদ্রোক্ত হয়, তাহা হইলে জানিবেন সাম্রাজ্যের সমস্ত সেনাই বিদ্রোহী।” “তোমরা— আপনারা— করিবেন না ?” “যুবরাজভট্টারক আদেশ করিলে আপনাকে এখনই বন্দী করিতে পারি, কিন্তু আপনার আদেশে যুবরাজ কেন, পিপীলিকাটি পর্য্যন্ত স্পর্শ করিব না।” “আপনি জানেন আমি মহাবলাধিকৃত ?” “জানি, কিন্তু আমরা আপনার আদেশ প্রতিপালন করিতে বাধ্য নহি ” “কেন?” “যে দিন যুবয়াজভট্টারকের পদচ্যুতির আদেশ আসিয়াছে, আমরা সেই দিনই পদত্যাগ করিয়াছি।” “সকলেই ?” “সকলে ” “তবে যুদ্ধ করিবে কে?” “তাহা আপনিই জানেন ।”