পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ミミ> নুতন করিয়া গড়িতে গেলে সাম্রাজ্যে বিদ্রোহ উপস্থিত হইবে, পুরাতন ধীরে ধীরে পরিবর্তন করিতে হইবে।” “কি করব, অভিজাত সম্প্রদায়ের কেহ অনন্তাকে পট্টমহাদেবী বলিয়া স্বীকার করিতে চাহে না । তাহাকে অভিবাদন না করিলে সে পাগল হইয় উঠে ” “তাঙ্গকে সহা করিতে বল, রাষ্ট্রনীতির পথ সুগম নহে, তাহাকে ধীরে চলিতে শিখাও নতুবা সত্য সত্যই সৰ্ব্বনাশ হইবে।” “প্রাসাদে কি হইয়াছে, শুনিয়াছ ?” “গোবিন্দ আসিয়া দামোদরকে মুক্ত করিয়াণ্ড ত ?” “না, ব্যাপার অনেকদুর গড়াইয়াছে।” “কি হইয়াছে?” “বুড়া গোবিন্দকে দেখিয়া কাদিয়া ফেলিয়াছিল, সে স্বীকার করিয়াছে রাজকাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিবে না, বৃদ্ধ শৃগাল যাহা করিবে তাহাই হইবে, বুড়া অনন্তার সহিত ধ্রুবস্বামিনীর গৃহে বাস করিবে, তুই বেলা দুই মুষ্টি অন্ন পাইবে, সে আর কিছুই চাচ্ছে না।” “উত্তম ” “তুমি কি বলিতেছ? পাগল হইলে না কি ?” “কেন ?” “বৃদ্ধ শৃগাল যদি রাজ্যশাসন করিবে, তবে আমরা কি করিব ? কি জন্ত বৃদ্ধ বানরের কণ্ঠে শুভ্র মুক্তাহান পরাইয়া দিয়াছি ?” “অনন্ত কি করিতেছে?” “সে প্রসাধন-অঙ্গরাগ ত্যাগ করিয়া শয্যা গ্রহণ করিয়াছে, অনশনে আমার সোণার কমল শুকাইয়া গিয়াছে।” “তাহাকে স্থির হইতে বল, গোবিন্দ চলিয়া গেলে আবার সমস্ত ক্ষমতাই ফিরিয়া পাইবে। ধীরে ইন্দ্ৰলেখা, ধীরে, ব্যস্ত হইলে অভীপ্ত সিদ্ধ হইবে না । যাহারা অনস্তাকে অভিবাদন করিতে চাহে না, তাহারা পাটলিপুত্রের পথে পথে ভিক্ষা করিবে। বৈষ্ণব-অভিজাঁত-সম্প্রদায়ের সৰ্ব্বনাশ না করিয়া হরিবল ক্ষান্ত হইবে না । স্কন্দ গুপ্ত কি বন্দী হইয়াছে ? “ভ্রাতার অনুরোধে বুড়া সে আদেশ প্রত্যাঙ্গর করিয়াছে।” “ভাল, আবার দুইদিন পরে নুতন আদেশ প্রচারিত হইবে ?” “গোবিন্দ যুদ্ধের চিন্তায় ব্যাকুল হইয়াছে।” “কেন?” “ইণজাতি বড় প্রবল হইয়া উঠিয়াছে ” “উত্তম কথা।” “শক্র দমন না করিলে সাম্রাজ্যের যে