সপ্তম পরিচ্ছেদ ২৩৩ ছিন্ন ভূৰ্জপত্রে লিখিত একখানি পত্র বন্ধুবৰ্ম্মার নিকটে আনিল, বন্ধুবৰ্ম্ম তাহা পাঠ করিয়া অত্যন্ত বিস্থিত হইলেন। তিনি ভূৰ্জপত্রখণ্ড যুবরাজের নিকট প্রেরণ করিলেন । পত্রপাঠ করিয়া স্কন্দ গুপ্ত বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইলেন । .# পত্রে লিখিত ছিল ;–“শাণ্ডিলাগোত্রীয় শাগুিলাসিতদৈবল-প্রবর সামবেদীয় কোথুমশাখাধ্যায়ী পৌণ্ডবৰ্দ্ধনভূক্তির গোঁড়নগরনিবাসী, পবিত্র সমুদ্র হইতে সমুদ্র পর্য্যন্ত বিস্তৃত আর্য গুপ্তসাম্রাজ্যের গৌড়ীয় মহাবলাধিকৃত ভানুমিত্রদেবের বাল্যসখী ব্রাহ্মণ ঋষভদেব শৰ্ম্মকর্তৃক লিখিত । গন্ধারমণ্ডলে গন্ধারভুক্তিতে পুরুষপুর নগরে মার্গশীর্ষের প্রথম দিবসে শুক্লা সপ্তমীতিথিতে আমার মাতৃকল্প পরমেশ্বর পরমভট্টারক পরমবৈষ্ণব মহারাজাধিরাজ কুমারগুপ্তদেবের পালিত কন্যা কুমারপাদীয় গৌড়ীয় মহাবলাধিকৃত ভানুমিত্রদেবের ধৰ্ম্মপত্নী-করুণাদেবী তৃণহস্তগত । ব্রাহ্মণের আদেশ আর্য্যাবৰ্ত্তবাসী ভাগবতমাত্রেই এই পত্র গ্রহণ করিয়া পাঠ করিবে এবং যদি কখনও মাগধ-সেনা অথবা কোনও মগধবাসী পুরুষপুর নগরে আগমন করে, তাহার হস্তে এই পত্র প্রদান করিবে । বাসুদেব আমার ভয় দূর করিয়াছেন, আমার হৃদয়ে শক্তিসঞ্চার করিয়াছেন। আমি করুণাদেবীকে রক্ষা করিতে গিয়া হুণহস্তে আহত হইয়াছি। যতদিন দেহে শক্তি থাকিবে মাতৃকল্লা করুণার সন্ধানে ফিরিব । দৈবজ্ঞ গণনা করিয়া বলিয়াছে আমি গৌড়দেশে প্রত্যাবর্তন করিব না – গোপক দ্যা রোহিণী গৌড়নগরে ক্ষীর সর নবনীত দধি দিয়া আমার সেবা করিত, --আমার গৌড়নগরের গৃহ, তৈজসপত্র ও গাভীদ্বয় তাহাকে প্রদান করিলাম। ব্রাহ্মণের আজ্ঞ যেন পুরুষপুর হইতে গৌড় পর্য্যন্ত প্রচারিত হয় ।” পত্রপাঠ করিয়া যুবরাজভট্টারক স্কন্দগুপ্ত দণ্ডাধিককাল স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রছিলেন। যুবরাজ তাহার পর বন্ধুবৰ্ম্মাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বন্ধু, এ পত্র কোথায় পাইলে ?” বন্ধুবৰ্ম্ম কহিলেন, “এক বৃদ্ধ